কী পড়তে হবে বা কিভাবে পড়তে হবে বা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যেইবা কী, এসকল প্রশ্নের উত্তর আইনে শিক্ষা শুরুর পূর্বে বা শুরু করার পরেই মনে আসে। আইনে ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের অথবা আইনে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের এসকল প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে ধারণা দেওয়াই এই প্রবন্ধের লক্ষ্য। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আইন শিক্ষা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের বাস্তব রূপ থেকে প্রত্যাশিত রূপ নিয়েই এই প্রবন্ধে আলোচনা করা হয়েছে।
বাংলাদেশে শিক্ষা গ্রহণের বিদ্যমান স্তরসমূহের মধ্যে মূলত উচ্চশিক্ষা স্তরে আইনে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শিক্ষার্জনের সুযোগ রয়েছে। আইন সংশ্লিষ্ট যেকোনো পেশায় প্রবেশ করার জন্য আইনে ডিগ্রি অর্জন অত্যাবশ্যক। বাংলাদেশে আইনে প্রাথমিক ডিগ্রি হিসেবে দুই ধরণের ডিগ্রি প্রদান ও শিক্ষাদান কার্যক্রম বিদ্যমান রয়েছে। চার বছর মেয়াদী এলএল.বি.(অনার্স) ডিগ্রি এবং অন্যটি দুই বছর মেয়াদী এলএল.বি.(পাশ) ডিগ্রি।
দেশের পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ এলএল.বি.(অনার্স) ডিগ্রি প্রদান ও শিক্ষাদান কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে এবং বর্তমানে এলএল.বি.(পাশ) ডিগ্রি প্রদান ও শিক্ষাদান কার্যক্রম পরিচালিত হয় একমাত্র আইন কলেজসমূহে। পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে প্রদত্ত ডিগ্রির শিক্ষা কার্যক্রমের মেয়াদ ও ধরণ, ভর্তির যোগ্যতা এবং আইন কলেজসমূহে শিক্ষা কার্যক্রমের মেয়াদ ও ধরণ, ভর্তির যোগ্যতা ইত্যাদিতে বৈসাদৃশ্য রয়েছে। এছাড়াও দেশে নানা প্রতিষ্ঠান বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনুমোদন নিয়ে আইনে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে নানা মেয়াদী শিক্ষার্থীদের আইনে ডিগ্রি প্রদান করে থাকে।
◆ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন শিক্ষা কার্যক্রম: দেশে মোট ৫৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৬টিতে আইন শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনার জন্য এক বা একাধিক আইন সংশ্লিষ্ট বিভাগ রয়েছে। এছাড়াও দেশের মোট ১০৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অধিকাংশতেই আইন বিভাগের মাধ্যমে আইন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। প্রত্যেকটি পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে স্নাতক- এলএল.বি. (অনার্স) ডিগ্রি প্রোগ্রামে শিক্ষাদান কার্যক্রমের মেয়াদ চার বছর। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে বছর ভিত্তিক অথবা সেমিস্টার পদ্ধতিতে এবং প্রত্যেকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিস্টার অথবা ট্রাইমেস্টার পদ্ধতিতে শিক্ষাদান কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
উভয় ধরণের বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বা সংশ্লিষ্ট অনুরূপ নামীয় বিভাগের অধীনে এলএল.বি.(অনার্স) প্রোগ্রামে শিক্ষাদান কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। শিক্ষাদানে সম্পৃক্ত থাকেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বিভাগে স্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকমণ্ডলী। বিভাগের শিক্ষাদান ও গবেষণা কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করেন বিভাগের শিক্ষকমণ্ডলীর মধ্য থেকে বিধি মোতাবেক নিয়োগকৃত বিভাগের চেয়ারম্যান/বিভাগীয় প্রধান। ক্ষেত্রবিশেষ সংশ্লিষ্ট পেশায় অভিজ্ঞজনদের অতিথি শিক্ষক হিসেবে বিভাগে নিয়োগ দান করা হয়। বিভাগের কার্যক্রম তত্ত্বাবধানের জন্য রয়েছে অনুষদ অধিকর্তা/ডিন-এর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত অনুষদ/স্কুল।
বিশ্ববিদ্যালসমূহে ক্রেডিট আওয়ার ভিত্তিক শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা ও পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন নির্ধারিত ‘সিজিপিএ’ পদ্ধতিতে ফলাফল প্রকাশিত হয়। বছরভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে সেমিস্টার বা ট্রাইমেস্টারভিত্তিক অনার্স প্রোগ্রামে অর্থাৎ চার বছরে পঠিত কোর্সসমূহের সংখ্যার তারতম্য ঘটে। ক্রেডিট আওয়ার হিসেবে ১২০ থেকে ১৫০ ক্রেডিট বা বেশি কোর্স প্রোগ্রামসূচিতে অন্তর্ভুক্ত থাকে। কোর্স হিসেবে চল্লিশটি ( কিছু কম বা বেশি) আইনের কোর্স অনার্সে শিক্ষার্থীদের পড়তে হয়। আইনের কোর্স ছাড়াও জেনারেল এডুকেশন কোর্স (জিইডি) হিসেবে আরো ছয়/সাতটি (কিছু কম বা বেশি) কোর্স যেমন: ইংরেজি, বাংলা, কম্পিউটার, মুক্তিযুদ্ধের অভ্যুদয় ও ইতিহাস, বাংলাদেশ স্টাডিজ ইত্যাদি সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের শিক্ষার্থীদের যথাসাধ্য গুণাবলীর সমন্বয় সাধন করে যেকোনো পেশার উপযোগী করে গড়ে তুলতে প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্ট ও পরিপূর্ণ কারিকুলাম থাকে। কারিকুলামে সকল কোর্সের নাম, ক্রেডিট আওয়ার, পূর্ণ নম্বর, বিস্তারিত কোর্স পরিকল্পনা, পরীক্ষা পদ্ধতি, ফলাফল পদ্ধতি ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে। প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী পরীক্ষার পদ্ধতি নির্ধারণ, পরীক্ষার সময় নির্ধারণ, পরীক্ষা গ্রহণ, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ফলাফল তৈরি, ফলাফল ঘোষণা ও ডিগ্রি প্রদান ইত্যাদি কার্যক্রম স্বয়ং বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করতে সক্ষম।
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম বিশেষ বৈশিষ্ট্যসমৃদ্ধ। যেসকল বিশ্ববিদ্যালয় সরাসরি আইন শিক্ষাদান কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত থাকে, তার সাথে সমস্তরের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন: কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও ইন্সটিটিউটের সার্বিক শিক্ষাদান কার্যক্রমের যথেষ্ট পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য গবেষণাধর্মী শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে মৌলিক জ্ঞান সৃষ্টির উপযোগী করে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে শিক্ষাদান কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত জিপিএসহ উচ্চ-মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আইনে ভর্তির উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় গৃহীত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে। ভর্তি পরীক্ষায় নির্ধারিত শর্ত পূরণ করলেই ভর্তি হওয়া যায় আইন বা আইন সংশ্লিষ্ট বিভাগে। বাস্তবিক কারণেই অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি আইন বিভাগে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। কিন্তু ক্রমাগতই সকল বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে।
শ্রেণি কার্যক্রম থেকে পরীক্ষা গ্রহণ পদ্ধতি সকল কিছুতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। গবেষণার মৌলিক বিষয়সমূহ নির্ধারিত কোর্স ছাড়াও প্রযোজ্য সকল কোর্সসমূহে ধারণা দেওয়া হয়। গবেষণা প্রসঙ্গে শিক্ষার্থীদের অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা ইত্যাদি রিপোর্ট লিখন, কেস স্টাডি, মাঠ পরিদর্শন ও তথ্য সংগ্রহ, গবেষণা নিবন্ধ লিখন ও উপস্থাপন ইত্যাদির মাধ্যমে যাচাই করা হয়। শিক্ষার্থীদের উক্ত বিষয়/কাজসমূহ পরীক্ষা করে যে নম্বর দেয়া হয় তা শিক্ষার্থীর চূড়ান্ত ফলাফল তৈরিতে যোগ করা হয়। লিখিত পরীক্ষার জন্য তৈরিকৃত প্রশ্নপত্রেও থাকে ভিন্নতা। শিক্ষার্থীর মনে রাখা/স্মরণে রাখা/মুখস্ত করার ক্ষমতা যাচাই করে বিশ্ববিদ্যালয় শুধু সন্তুষ্ট থাকে না। মূলত কোনো কিছু স্মরণে রাখা/মনে রাখা স্তরের পর থেকে জ্ঞান প্রয়োগের যে কৌশলগুলো রয়েছে তা যাচাই করতে প্রশ্নপত্র সে অনুযায়ী করা হয়। চিন্তা বা জ্ঞান প্রয়োগের ৬টি স্তর হলো: ১) কোনো কিছু স্মরণে/মনে রাখা, ২) বিষয়বস্তু অনুধাবন করা, ৩) প্রয়োগ করতে পারা, ৪) ব্যাখ্যা করার ক্ষমতা, ৫) মূল্যায়ন করতে পারা এবং সর্বশেষ ৬) সৃষ্টি/ তৈরি করা। প্রত্যেকটি চিন্তা/জ্ঞানের স্তর যাচাইয়ের জন্য প্রশ্নপত্রের ধরণ ও উত্তর দানের ধরণ এক রকম নয়। প্রত্যেকটি টার্ম বা বছর অতিক্রান্তে চিন্তার বা জ্ঞানের স্তরগুলোর সাথে ক্রমান্বয়ে শিক্ষার্থীদের পরিচিত করে তোলো হয় এবং সেরূপে নানা পরীক্ষার মাধ্যমে তা যাচাইও করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য মাথায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন শিক্ষাকার্যক্রমের একটি প্রত্যাশা থাকে এমন সুদক্ষ মানব সম্পদ তৈরি করা যারা প্রচলিত জ্ঞানের ব্যবহারের পাশাপাশি যারা একটি আইনের দুর্বলতা খুঁজে বের করতে সক্ষম হবে, শক্ত আইন তৈরিতে পরামর্শ দিতে পারবে, আইনের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সঠিক পথের সন্ধান দিতে পারবে, নতুন আইনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করবে, সেমতে দিক নির্দশনা দিতে পারবে, আইন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কার্যকারিতা নিরুপণে সক্ষম হবে ইত্যাদি। এসকল বিষয়ে ফলপ্রসু সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও প্রদানে কাঠামোবদ্ধ পদ্ধতির প্রয়োগের প্রয়োজন হয়। ফলে কর্মজীবনে একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর উপরোক্ত কাজসমূহে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জিত শিক্ষা জ্ঞানসমূহ প্রয়োগের মাধ্যমে সফলতা প্রদর্শনের সুযোগ ঘটে।
◆ আইন কলেজে শিক্ষাকার্যক্রম: উচ্চশিক্ষা স্তরে কলেজ প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞানের সঞ্চারণ করা। বাংলাদেশের মোট আইন কলেজের সংখ্যা ৭৩টি (বা কিছু বেশি)। আইন কলেজসমূহ থেকে আইন শিক্ষার্থীদের দুই বছর মেয়াদী এলএল.বি. ডিগ্রি প্রদান করা হয়ে থাকে। এলএল.বি. ডিগ্রি প্রোগ্রামের প্রথম বছরকে এলএল.বি. প্রথম পর্ব এবং দ্বিতীয় বছরকে এলএল.বি. ফাইনাল পর্ব হিসেবে অভিহিত করা হয়। সিলেবাস তৈরি, পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ফলাফল তৈরি কার্যক্রমগুলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে হয়ে থাকে।
আইন কলেজে ভর্তির যোগ্যতা যেকোনো বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি। এলএল.বি. প্রথম পর্বে আইন কলেজের শিক্ষার্থীরা সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত মোট ৭/৮টি আইনের কোর্স/বিষয় এবং ফাইনাল পর্বে মোট ৮/৯টি আইনের কোর্স অধ্যয়ন করে থাকে। আইন কলেজে নৈশকালীন শ্রেণিকার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। আইন কলেজসমূহে অস্থায়ী শিক্ষকমণ্ডলীর মাধ্যমে শ্রেণিকার্যক্রম পরিচালিত হয়। অ্যাডভোকেট, বিচারক, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং আইন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পেশায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সাধারণত আইন কলেজসমূহে শ্রেণিকার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন। একজন অধ্যক্ষের নেতৃত্বে আইন কলেজে শিক্ষাদান কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
এলএল.বি. প্রথম পর্ব ও ফাইনাল পর্ব উভয় বছরান্তে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিয়ভাবে নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে সারাদেশের আইন কলেজসমূহে একযোগে ফাইনাল পরীক্ষা গ্রহণ করে থাকে। প্রতিটি কোর্সে ১০০ (কতিপয় বিষয়ে ৫০) নম্বরের লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত অন্যান্য কলেজসমূহে সিজিপিএ পদ্ধতিতে ফলাফল প্রকাশ করা হলেও আইন কলেজসমূহে শ্রেণি পদ্ধতিতে (প্রথম/দ্বিতীয়/তৃতীয় শ্রেণি) ফলাফল প্রকাশিত হয়।
◆ শেষকথা: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভেদে শিক্ষাকার্যক্রমে ভিন্নতা অত্যন্ত স্বাভাবিক ও বাস্তবিক প্রয়োজনেই হয়ে থাকে। দেশের মানব সম্পদকে মেধা ও আগ্রহের ভিত্তিতে নানা মাত্রায় কর্মপযোগী করে তোলার প্রয়োজন হয়। ফলে শিক্ষাগ্রহণের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পছন্দ করার ক্ষেত্রে সংযোগ ঘটাতে হয় ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষা, চাহিদা ও মেধার সমন্বয়। তবে যেকোনো ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফলতা অর্জিত হয় না। সকল ক্ষেত্রেই আগ্রহ, চেষ্টা ও যথাসাধ্য পরিশ্রমের প্রয়োজন হয়। কখনও কখনও জ্ঞানার্জনে ব্যক্তিগত আগ্রহ, আকাঙ্ক্ষা ও পরিশ্রম ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে থেকে নিজেকে ছাপিয়ে উঠতে সহযোগিতা করে থাকে।
গাজী সাইফুল হাসান
বিভাগীয় প্রধান
আইন ও বিচার বিভাগ,
মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি,
সিলেট, বাংলাদেশ ।
নির্বাহী সম্পাদক