রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত দুই পুলিশ সদস্যের শরীরে প্লাজমা প্রয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনের অবস্থা উন্নতির দিকে। তার ভেন্টিলেশন খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে প্লাজমার কারণেই তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না চিকিৎসকরা। প্লাজমা প্রয়োগ করা অপর পুলিশ সদস্যের অবস্থা আগে থেকেই জটিল ছিল। তার কার্ডিয়াক অ্যাটাক হয়েছে।
সোমবার (১৮ মে) রাতে পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক ডিআইজি ড.হাসান উল হায়দার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে চিকিৎসাধীন দুজন পুলিশ সদস্যের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তাদের দুজনকেই ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) রাখা হয়েছিল। ঢাকা মেডিক্যালের চিকিৎসকদের মাধ্যমে করোনা থেকে ফিরে আসা দুই ব্যক্তির প্লাজমা সংগ্রহের পর চিকিৎসাধীন ওই দুজন পুলিশ সদস্যের শরীরে প্রয়োগ করা হয়। এক জনের অবস্থা উন্নতির দিকে।’
পুলিশ হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এটাকে এখনও আমরা সাকসেসফুল কেস হিসেবে গণ্য করছি না। কারণ, একজনের অবস্থার উন্নতির মাধ্যমে সফলতা দাবি করা যাবে না। আমরা আরও রোগীর ওপর প্রয়োগ করবো। তখন রোগীর অবস্থা দেখে নিশ্চিত করে বলা যাবে। আমরা এ বিষয়ে আরও কাজ করছি।’
উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) গাইডলাইন অনুযায়ী কোভিড-১৯ এর পরীক্ষামূলক চিকিৎসার তালিকায় বিভিন্ন ওষুধের ব্যবহার ও পদ্ধতির মধ্যে প্লাজমাও রয়েছে। গত ১৮ এপ্রিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই প্লাজমা থেরাপির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে একটি কারিগরি উপকমিটি গঠন করে। কমিটি পরীক্ষামূলক গবেষণার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে অনুমতি দিয়েছে।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
বার্তা বিভাগ প্রধান