শুদ্ধবার্তাটোয়েন্টিফোর:
বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা বেড়েছে। কারণ সামনে রমজান মাস। তার আগে আগামী ১ মে শবে বরাত। ফলে বেড়ে গেছে নিত্যপণ্যের কেনাবেচা। অবশ্য বাজারে সব ধরনের নিত্যপণ্যের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ প্রচুর। আমদানিও চাহিদার তুলনায় বেশি। তারপরেও রোজা আর শবে বরাতকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীরা ফায়দা লোটার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। যদিও সরকারের বাজার সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর তৎপরতার কারণে অস্থির হয়ে ওঠেনি নিত্যপণ্যের বাজার। তবে অন্যান্য বছরের মতো এবার নিত্যপণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়নি। ইতোমধ্যে সরকারের বাণিজ্য সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) রমজান উপলক্ষে আগামী ৬ মে থেকে সরাদেশে ছোলা, চিনি, ডাল, খেজুর ও ভোজ্যতেল বিক্রি শুরু করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। আসন্ন রমজান মাসকে সামনে রেখে কী পরিমাণ পণ্য মজুদ করা হয়েছে বা বাজারে হবে কৌশলগত কারণেই তা আগে ভাগে বলছে না টিসিবি। তাদের পণ্য মজুদের পরিমাণ আগে থেকে জানলে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিজেদের পণ্য বাজারে না ছেড়ে মজুদ রাখে। এতে একদিকে বাজারে পণ্যের সরবরাহ কমে যায়। অন্যদিকে টিসিবির মজুদ খালি হয়ে গেলে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজার অস্থির করে তুলতে পারে। রমজান মাসে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ এ সময়ে কিছু নিত্যপণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। রোজার সময় ব্যবসায়ীদের একটি শ্রেণির লুটেরা মনোভাবের কারণে যুক্তিগ্রাহ্য কারণ না থাকলেও বেড়ে যায় নিত্যপণ্যের দাম। ছোলা, চিনি, তেল, খেজুর, ডালসহ রমজান মাসে প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর চাহিদার চেয়ে বেশি আমদানি করা হয়েছে। বাজারে নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও মুনাফাখোরদের অপতৎপরতাই মূল্যবৃদ্ধির কারণ ঘটায়। তবে চিনি, আদা, পেঁয়াজ, খেজুরসহ অত্যাবশ্যক নিত্যপণ্যের দাম এখনও স্থিতিশীল। ক্রেতাদের মন্তব্য, ‘রমজানকে কেন্দ্র করে এসব পণ্যের কৃত্রিম সংকট যেন দুর্বিষহ হয়ে না ওঠে সেজন্য এখনই সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।’ সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো এবার আগে থেকেই তৎপর রয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ১৪টি বাজার মনিটরং টিমের দায়িত্ব রয়েছেন ১৪ জন উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা। এই টিমে রয়েছেন ঢাকা জেলা প্রশাসন, ডিএমপি, র্যাব সহ বাজার সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা। এই টিমগুলো সারাবছর বাজার মনিটর করে। তবে রমজান মাসে বিশেষভাবে বাজার মনিটরিংয়ের কাজের সঙ্গে যুক্ত থকে এই ১৪টি টিম। এছাড়া ভেক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, নিরাপদ খাদ্য অধিদফতর ও সিটি করপোরেশনও সারাবছর বাজার মনিটর করে। রমজান মাসেও বিশেষঅবে বাজার মনিটরিংয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকে এই তিন সংস্থা।