সিলেটের জৈন্তাপুরে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক ছাত্রীকে অচেতন করে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী স্ত্রী দু’জনকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, জৈন্তাপুর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুমি বেগম (৩০) ও তার স্বামী কয়েছ আহমদ (৩৬)। তারা একই উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের কমলাবাড়ী মোকামটিলায় বসবাস করে আসছিলেন।
জানা গেছে, বিগত ২ মে ইফতারের দাওয়াত দিয়ে ভিকটিমকে কৌশলে সুমি বেগম তার বাড়িতে তাকে ডেকে নিয়ে যান। সুমি বেগম আত্মীয় সর্ম্পকে ওই ছাত্রীর খালা হন। ওই দিন ইফতার শেষে রাত আনূমানিক ৮টার দিকে ভিকটিমকে চায়ের সাথে নেশা জাতিয় কিছু মিশিয়ে খাওয়ানো হলে সাথে সাথে ওই ছাত্রী অচেতন হয়ে পড়েন। সেই সূযোগে সুমি বেগমের সহায়তায় তার স্বামী কয়েছ আহমদ ভিকটিমকে ধর্ষণ করে ও মোবাইলে ঘটনার ভিডিও ধারণ করে। একপর্য্যায় ভিকটিমের চেতনা ফিরে আসলে দেখতে পান তার শরীর উলঙগ ও পাশে শুয়ে আছে নরপশু কয়েছ । এসময় ভয়ে ভিকটিম চিৎকার দিতে চাইলে তার মূখ চেপে ধরে পাষন্ড কয়েছ। পরবর্তীতে বিষয়টি সর্ম্পকে ভিকটিম তার আত্মীয় স্বজনদের জানালে তরুণীর বাবা এসে তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি’তে নিয়ে ভর্তি করেন।
ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী সমাজ কল্যান বিভাগে অনার্স ২য় বর্ষ ও সিলেটের একটি বে-সরকারী ইউনিভার্সিটিতে এলএলবি ১ম সেমিষ্টারে অধ্যায়নরত আছেন। বর্তমানে সে জৈন্তাপুরের নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে।
এ ব্যাপারে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বণিক বলেন, ঘটনার দু’দিন পর ৪ মে ধর্ষণকারী ছাত্রী নিজে বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব-৯’র সহযোগিতায় শুক্রবার মধ্যরাতে সিলেট থেকে কয়েছ আহমদ ও তার স্ত্রী সুমি বেগমকে আটক করা হয়। পরে তাদের ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।সিএননিউজ
নির্বাহী সম্পাদক