করোনাভাইরাস মহামারিতে থমকে গেছে খেলা। ঘরে বসে অলস সময় কাটছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। এ জন্য খেলার আর্কাইভ খুলে দিয়েছে অনেক সংবাদমাধ্যম। পুরোনো খেলা, স্কোরকার্ড, ভিডিও কিংবা মজার ঘটনা জেনে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন তারা। রাহুল দ্রাবিড়ের একটি মজার ঘটনা জানা গেল এভাবেই।
২০১৬ সালে বিক্রম শেঠিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঘটনাটা বলেছিলেন দ্রাবিড় নিজেই। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম তা সামনে তুলে এনেছে নতুন করে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের শুরুর দিনগুলোতে এমন মজার ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিলেন ‘দ্য ওয়াল’। হায়দরাবাদ থেকে এক ভক্ত দেখা করতে চলে এসেছিল ভারতের সাবেক এ অধিনায়কের বাড়িতে।
ঘটনাটা শুনুন দ্রাবিড়ের মুখেই, ‘তখন একটা সফর থেকে এসেছি। বিকালে বাসায় ঘুমোচ্ছিলাম। ঘুম থেকে ওঠার পর বাবা-মা বলল, বাড়িতে এক ভক্ত এসেছে, তার সঙ্গে দেখা করতে হবে। সুদূর হায়দরাবাদ থেকে এসেছে। প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে সে অপেক্ষা করছিল।প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো অটোগ্রাফ নেবে বা ছবি তুলবে।’
হায়দরাবাদ থেকে সেই নারীভক্ত চলে এসেছিলেন দ্রাবিড়ের বাড়িতে।এরপর সে আর দ্রাবিড়ের বাড়ি থেকে যেতে চাচ্ছিল না। ভারতের কিংবদন্তি এ ব্যাটসম্যানের জানান, ‘সে বলল আমি এখান থেকে যাচ্ছি না। এখানে আসার জন্য ঘর ছেড়ে এসেছি। এখানেই থাকব। তখন আমার অবস্থাটা বুঝুন।’
অনেক বুঝিয়ে-শুনিয়ে পুলিশ ডেকে সে নারীভক্তের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন দ্রাবিড়। সেই নারীর পরিবারকেও ডাকা হয়েছিল। ব্যাপারটা মিটে যায় ভালোভাবেই। তবে দ্রাবিড়ের পরিবার ওই ঘটনা থেকে ভালো একটা শিক্ষা নিয়েছিল। ‘ব্যাপারটা ভালোভাবেই শেষ হয়েছিল। ঘটনাটা থেকে আমার পরিবার বুঝতে পারে, কাউকে ওভাবে বাসায় ঢুকতে দেওয়া ঠিক হয়নি’-বলেন দ্রাবিড়।
ভারতের সাবেক এ ব্যাটসম্যানের ক্যারিয়ারের শুরুতে তাঁর বাড়িতে প্রায়ই ভক্তরা আসতেন। দ্রাবিড়ের বাবা-মা চাইতেন ভক্তদের সঙ্গে ছেলের যোগাযোগ থাকুক। ‘ভক্তদের তারা বাসায় আসতে দিতেন। আমাকে গিয়ে দেখা করতে হতো’ দ্রাবিড় এ কথা জানানোর পাশাপাশি বলেন, ওই ঘটনার পর তাঁর বাবা-মা আর কখনো এ কাজ করেননি।
বার্তা বিভাগ প্রধান