বিয়ের ভরা মরসুম এখন। বৈশাখ মাস জুড়ে বিয়ের তারিখও তাই অনেক। কিন্তু লকডাউনের দয়ায় সে সব বাতিল ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে প্রচুর পরিবার। আর্থিক ক্ষতির মুখেও পড়েছেন অনেকে। তবে তৃতীয় দফার লকডাউনে কেন্দ্র নিয়ম শিথিল করেছে অনেকটাই। সেই রেশ টেনেই নয়া নিয়ম ঘোষণা করল কেন্দ্র।
মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব পুণ্য শালিলা শ্রীবাস্তব জানান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জমায়েত করা যেতে পারে। তবে তা প্রযোজ্য শুধু বিয়ে বা শেষকৃত্যের ক্ষেত্রে। বিয়ের ক্ষেত্রে আমন্ত্রিতের সংখ্যা হবে ৫০। শেষকৃত্যে ২০ জনের বেশি জমায়েত করতে পারবেন না।
১৫ই মার্চ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে ছিল, শেষকৃত্যের জমায়েত করা যাবে না। কারণ এতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়। এতে সংক্রমণ ছড়ানোর ও অনেক বেশি সংখ্যায় সংক্রামিত হওয়ার ভয় থাকে। করোনায় মৃতের ক্ষেত্রে সর্ব্বোচ্চ পাঁচজনকে শেষকৃত্যে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। অফিস খোলার ক্ষেত্রে এদিন কেন্দ্র জানিয়েছে, অফিসে কর্মীরা কাজ করলে তাদের আরোগ্য সেতু অ্যাপ ব্যবহার করতেই হবে।
জানানো হয়েছে প্রতি কোম্পানিকে ফেস মাস্ক কর্মীদের দিতে হবে। একেক এক জন কর্মীর মধ্যে দূরত্ব থাকবে হবে ৬ ফুট। ৫০ শতাংশ কর্মী দিয়েই কাজ চালাতে হবে। কোনও মিটিং ডাকা হলেও তাতে ১০ জনের বেশি মানুষ উপস্থিত থাকতে পারবেন না। যাদের বাড়িতে ৫ বছরের ছোট বাচ্চা রয়েছে, যাদের বয়স ৬৫-র ওপরে তাদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবিধা দিতে হবে।
অপারেশনাল নিয়মাবলী– ১. ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে প্রতি কর্মীর মধ্যে, ২. ১০ জনের বেশি কর্মী নিয়ে মিটিং করা যাবে না, ৩.দুপুরের খাবার সময় প্রত্যেক কর্মীর আলাদা হবে, ৪. শিফটে কাজ হলে, প্রত্যেক শিফটের মধ্যে ১ ঘন্টার ফারাক থাকবে,
৫. লিফট নয়, ব্যবহার করতে হবে সিঁড়ি। লিফট ব্যবহার করতে গেলে ২-৪ জন একবারে উঠতে পারবেন ৬. কোনও অপ্রয়োজনীয় কাজে ভিজিটর আসা চলবে না ৭. যেসব কর্মীদের নিজস্ব গাড়ি নেই, তাদের জন্য অফিস ক্যাবের ব্যবস্থা করতে হবে।
স্বাস্থ্যবিধি ও পরিচ্ছন্নতার তালিকা– ১. প্রত্যেক কর্মীর জন্য মাস্ক বাধ্যতামূলক। ২. অফিসে যথেষ্ট পরিমাণে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে ৩. থার্মাল স্ক্রিনিং করা বাধ্যতামূলক ৪. প্রত্যেক অফিসে কোভিড-১৯ হাসপাতালের তালিকা থাকা বাধ্যতামূলক।
নির্বাহী সম্পাদক