করোনা ভাইরাসের কারণে সবকিছু স্থবির হয়ে পড়ায় বিপাকে পড়া মানুষদের সহায়তায় ধারাবাহিকভাবে সহায়তা কার্যক্রম চালাচ্ছে সরকার। সিলেট জুড়ে কয়েক দফায় বিপুল সরকারি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এবার আরেক দফায় সিলেট বিভাগে ৬৫০ মেট্রিক টন চাল ও ৪৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের বরাদ্দপত্র থেকে এমন তথ্য জানা গেছে। অধিদফতরের পরিচালক (ত্রাণ) মো. ইফতেখারুল ইসলাম বরাদ্দপত্রে স্বাক্ষর করেছেন।
আজ শুক্রবার বরাদ্দপত্রে দেখা যায়, সিলেট বিভাগের চার জেলায় অসহায়, কর্মহীন মানুষদের মধ্যে বিতরণের জন্য ৬৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আর ৪৩ লাখ টাকার মধ্যে নগদ বিতরণের জন্য ৩২ লাখ টাকা ও শিশু খাদ্য ক্রয় করে বিতরণের জন্য ১১ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। বরাদ্দপত্রে দেখা গেছে, নতুন করে সিলেটের জন্য ২৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৭০ মেট্রিক টন চাল সিটি করপোরেশনের জন্য বরাদ্দ হয়েছে। সুনামগঞ্জ জেলার জন্য ১৫০ মেট্রিক টন চাল, মৌলভীবাজারে ১০০ মেট্রিক টন এবং হবিগঞ্জ জেলায় ১৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। এদিকে, নগর বিতরণের জন্য সিলেট জেলায় ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের জন্য ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এছাড়া সুনামগঞ্জ জেলায় ৮ লাখ টাকা, মৌলভীবাজার জেলায় ৬ লাখ টাকা ও হবিগঞ্জ জেলায় ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের বরাদ্দপত্রে দেখা গেছে, সিলেট জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় করে বিতরণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩ লাখ টাকা।
সুনামগঞ্জে ৩ লাখ টাকা, মৌলভীবাজারে ২ লাখ টাকা ও হবিগঞ্জে ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গেল ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সিলেট জেলায় (সিটি করপোরেশনসহ) ২৬২১ মেট্রিক টন চাল, সুনামগঞ্জ জেলায় ১৮৪৫ মেট্রিক টন, মৌলভীবাজারে ১৬৭৫ মেট্রিক টন এবং হবিগঞ্জ জেলায় ২০২৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয় সরকার। ওই সময় পর্যন্ত নগদ বিতরণের জন্য সিলেটে ৯৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা, সুনামগঞ্জে ৮২ লাখ ১০ হাজার টাকা, মৌলভীবাজারে ৬৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ও হবিগঞ্জে ৮২ লাখ ২৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এছাড়া ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত শিশু খাদ্য ক্রয় করে বিতরণের জন্য সিলেটে ২১ লাখ টাকা, সুনামগঞ্জে ২১ লাখ টাকা, মৌলভীবাজারে ১৪ লাখ টাকা ও হবিগঞ্জে ২১ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল মন্ত্রণালয়।
বার্তা বিভাগ প্রধান