Home » শ্রমিকদের শরীরের তাপমাত্রা পরিক্ষার পর ধান কাটার জন্য অন্য উপজেলায় পাঠানো হচ্ছে

শ্রমিকদের শরীরের তাপমাত্রা পরিক্ষার পর ধান কাটার জন্য অন্য উপজেলায় পাঠানো হচ্ছে

নয়ন বাবু, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহার সদর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত থার্মাল স্কানার এর মাধ্যমে ধান কাটা শ্রমিকদের শরিরের তাপমাত্রা 

মাপার পর কৃষকদের তালিকা তৈরী করে নওগাঁ জেলার মধ্যে বিভিন্ন উপজেলায় ধান কাটা-মাড়াই এর জন্য শ্রমিক পাঠানো হচ্ছে। সাপাহার সদর ইউপি চেয়ারম্যান আকবর আলী সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে নিজেই শ্রমিকদের থার্মাল স্কানার এর মাধ্যমে শরিরের তাপমাত্রা নির্ধারণ করছেন। 

ইউপি চেয়ারম্যান আকবর আলী বলেন, সোমবার ও মঙ্গলবার শ্রমিকদের শরিরের তাপমাত্রা মেপে ৯৩ জন কে পার্শ্ববর্তী পত্নীতলা উপজেলায় পাঠানো হয়েছে। সরকারী নির্দেশনা মেনে চলা সহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শ্রমিকদের ধান কাটার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও চেয়ারম্যান আকবর আলী জানান।

উল্লেখ্য, উত্ত্বরবঙ্গের সব চেয়ে বড় খাদ্য ভান্ডার খ্যত নওগাঁ জেলায় চলতী বোরো ধানের মৌসুমে ইতিমধ্যেই অনেক এলাকায় মাঠে কৃষকদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফলানো স্বপ্নের ফসল ধান পেকেছে। করোনা দূর্যোগের কারনে প্রশাসন কর্তৃক নওগাঁ জেলাকে ”লক ডাউন” করায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ধান কাটিয়া শ্রমিকরা আসতে পারছেনা। প্রথমদিকে নওগাঁর কৃষকরা দিশেহারা অবস্থার মধ্যে পড়লেও কৃষকদের সে ভাবনা বা টেনশানের অবসান ঘটিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় খাদ্যমন্ত্রী ও নওগাঁ-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি।

এরিমাঝে খাদ্য ভান্ডার বলে খ্যাত নওগাঁ জেলায় মাঠের পর মাঠ জমির চলতী ইরি-বোরো ধান পাকতে শুরু করায় এবং করোনা দূর্যোগের কারনে প্রশাসন কর্তৃক নওগাঁ জেলাকে ”লক ডাউন” ঘোষনা করায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ধান কাটিয়া শ্রমিকরা হয়তোবা আসতে পারবেনা এমন চিন্তা ও ভাবনায় প্রথমদিকে নওগাঁর কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। তারই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৯৩ টি থার্মাল স্কানার হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসকে কাছে। সাথে সাথে জেলা প্রশাসক থার্মাল স্কানার উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণদের দেন। 

গত রবিবার সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কার্যালয় থেকে সদর ইউনিয়ন পরিষদ থার্মাল স্কানার গ্রহণ করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কল্যাণ চৌধুরী বলেন, বাহির জেলা থেকে আগত ধান কাটিয়া শ্রমিকদের শরীরের তাপমাত্রা মেপে যেন কৃষকদের বাড়িতে গিয়ে সুষ্ঠভাবে ধান কাটা ও মাড়াই কাজ চলে সে উদ্যোগের দিক নির্দেশনা সহ শ্রমিকদের শরীরের তাপমাত্রা মাপার জন্য কৃষি অফিস ও জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শ্রমিকদের শরীরের তাপমাত্রা মেপে কৃষকদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়ার ঘটনায় উপস্থিত লোকজন করোনা দূর্যোগের মধ্যে খাদ্যমন্ত্রী ও প্রশাসনের এমন মহৎ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *