কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটে এতদিন বন্ধ ছিল যাত্রী পারাপার। জরুরি প্রয়োজনে শুধুমাত্র ছোট কয়েকটি ফেরি চলাচল করছিল। তবে রোববার (২৬ এপ্রিল) সকাল থেকে সাতটি ফেরি চলাচল শুরু করেছে। জরুরি পরিবহনের পাশাপাশি এসব ফেরিতে ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড় রয়েছে। যাত্রীরা জানায়, গার্মেন্টস খোলার কারণে তারা ঢাকায় যাচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে শুরু থেকেই লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিকল্প উপায়ে তখন যাত্রীরা ট্রলারে করে পার হলেও পরবর্তীতে প্রশাসন কঠোর হলে তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে রোববার ‘গার্মেন্টস খুলবে’ এমন খবরে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে এসে ভিড় করে যাত্রীরা। ফেরিতে করে পার হয় পদ্মা। তবে মহাসড়কে পরিবহন বন্ধ থাকায় ছোট গাড়িতে ভেঙে ভেঙে তাদের কাঁঠালবাড়ী ঘাটে এসে পৌঁছাতে হয়।
যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লকডাউন শুরু হলে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বাড়ি ফিরে আসি তখন। কিন্তু এভাবে কতদিন আর থাকা যায়। কারখানা খুলবে বলে শুনেছি। তাই ঢাকা যেতে হচ্ছে। তবে অনেক কষ্ট করে ঘাটে আসতে হয়েছে। গাড়ি নাই। ছোট গাড়িতে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে আসতে হয়েছে।
ভাঙা থেকে আসা যাত্রী আব্দুল কুদ্দুস মিয়া বলেন, হকারি করতাম খেলনাসহ নানা জিনিস বেচতাম ব্যবসা বন্ধ। রোগের ভয়ে বাড়ি চলে আসছিলাম। এখন দেখি প্যাট চলে না। কামাই ছাড়া কয়দিন থাকা যায়? এবার ঢাকায় যাইয়া তরকারি বেচুম। কাঁঠালবাড়ি ফেরি ঘাট সূত্র জানায়, ডাম্প ও ছোট ফেরি মিলিয়ে সাতটি ফেরি সকাল থেকে চলছে। পণ্যবাহী পরিবহনের পাশাপাশি যাত্রীরাও রয়েছে। তবে যাত্রীদের খুব বেশি চাপ নেই। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যাত্রীরা ঘাটে আসছে।
বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ি ঘাটের ব্যবস্থাপক আবদুল আলীম জানান, সীমিত আকারে ফেরি চালু আছে। ঘাটে দুপুরের দিক থেকে কিছু যাত্রীদের দেখা গেছে। এততোদিন ঘাট যাত্রীশূন্য ছিল।
সূত্র: বাংলানিউজ২৪ডটকম
বার্তা বিভাগ প্রধান