মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের অভ্যন্তরে ৬ টি পৃথক আইসোলেশন ইউনিট আগামী ১৭ মে চালু করা হবে। এই ৬ টি পৃথক আইসোলেশন ইউনিটে ৭৭০টি শয্যা রয়েছে। আইসোলেশন ইউনিট গুলোর নির্মাণ কাজ প্রায় ৬০% সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ১৫ মে’র মধ্যে নির্মাণ কাজ শতভাগ সম্পন্ন করার টার্গেট নিয়ে এগিয়ে যাওয়া হচ্ছে। রোহিঙ্গা শরনার্থী ব্যবস্থাপনার সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত বিশ্বস্ত একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
সুত্র জানান, এসব আইসোলেশন ইউনিটে সরাসরি ভেন্টিলেটর সুবিধা নাথাকলেও অক্সিজেন সুবিধা থাকবে। ৩৪ টি রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প এলাকায় আইসোলেশন ইউনিট করার ইচ্ছে থাকলেও ক্যাম্প গুলো খুব ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। নিরাপত্তার কারণে ক্যাম্প থেকে অপেক্ষাকৃত বিচ্ছিন্ন এলাকায় এ করোনা ইউনিট গুলো গড়ে তোলা হচ্ছে।
সুত্র মতে, রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের অভ্যন্তরে আইসোলেশন ইউনিটের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ আগামী সপ্তাহ খানেকের মধ্যে শেষ হবে। সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাস সংকট চলায় আন্তর্জাতিক বাজারে করোনা চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট কারিগরি যন্ত্রপাতির খুবই সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় করোনা চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি আমদানি করতে বিলম্ব হচ্ছে। তাছাড়া বিশ্ববাজারে চাহিদামতো যন্ত্রপাতিও সহজে পাওয়া যাচ্ছেনা। আগামী ১০ মে’র মধ্যে চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট কারিগরি যন্ত্রপাতি দেশে আসতে পারে বলে সুত্রটি জানিয়েছে। পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে কারিগরি যন্ত্রপাতি ফিটিং করে আইসোলেশন ইউনিট গুলো ১৭ মে’র মধ্যে চালু করা হতে পারে। এমনটি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সুত্রটি।
নির্বাহী সম্পাদক