এডভোকেট রণজিত সরকার সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক তিনি। দু:সময়ে হাওরবাসীর পাশে দাঁড়িয়ে উৎসাহ যুগাচ্ছেন কৃষকদের। খোঁজে নিচ্ছেন স্থানীয় নেতাকর্মীদের। তারপর দলবলে যাচ্ছেন হাওরে। আজ অন্যের জমি, তো কাল অপর কৃষকের জমি। এভাবেই নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে কেটে দিচ্ছেন ধান। ধান কেটে সবাইকে সাথে নিয়ে তও আবার পৌছে দিচ্ছেন কৃষকের বাড়িতে। খুঁজে বের করছেন অসহায় কৃষকদের। অর্থের অভাবে শ্রমিক দিয়ে ধান কাটার সামর্থ্য নেই এমন দরিদ্র কৃষকের জমির ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি নিজে।
রণজিত সরকারের রাজনৈতিক পদচারণা বিভাগীয় শহর সিলেট হলেও যে কোন দুর্যোগে ছুটে আসেন অসহায় হাওর বাসীর পাশে। । এ বছর করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আতঙ্কে দেখা দিয়েছে ধান কাটার শ্রমিক সংকট। অন্যদিকে বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢলে অকাল বন্যায় ফসল তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। সব মিলিয়ে ধান ঘরে তোলা নিয়ে কৃষকদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। সেই দু:সময়ে হাওবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি বরাবরের মতো। ঠিক তেমনি আজ শনিবার সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার বেহেলী ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের দরিদ্র কৃষক অদুদ মিয়ার পাকা ধান কেটে দেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাচি (কাস্তে) হাতে রনজিত সরকার নিজে সহ স্থানীয় নেতা কর্মিরা অদুদ মিয়ার জমির পাকা বোরোধান কেটে দিচ্ছেন।
দুপুর গড়িয়ে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত ধান কাটা শেষে এসব ধান মাথায় নিয়ে পৌঁছে দিয়েছেন বাড়িতে। কথা হয় কৃষক অদুদ মিয়ার সঙ্গে, তিনি বলেন, রনজিত সরকার হাওরের ছেলে এবং কৃষকের সন্তান বলেই কৃষকদের দুঃখ দুর্দশা বুঝতে পারে। আমরা গর্বিত হাওরের এই ছেলেটাকে নিয়ে।
বার্তা বিভাগ প্রধান