দীর্ঘ একটি বছর ঘুরে আবারও রহমত, বরকত ও নাজাতের বার্তা নিয়ে হাজির পবিত্র মাহে রমজান। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে অন্যান্য বছর থেকে এবছর রমজান মাস অনেকটা অন্যরকম কাটবে মুসলিম উম্মাহর। এবার মসজিদগুলোতে নেই আগের মতো তারাবি নামাজ, মুসল্লিদের ভিড়। দেখা যাবে না জমজমাট আয়োজন করে ইফতার ও ইবাদাতের দৃশ্য।
এমন দুঃসময়ে রমজান অনেকের জন্য এক অবারিত সুযোগও নিয়ে এসেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, সামর্থবানরা অনাহারি, অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর এক বড় সুযোগ নিয়ে এসেছে এই রমজান।
শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মাগরিবের নামা ঘনিয়ে আসতেই মসজিদের মাইকে রমজানের আগমনী বার্তার জানান দেয়া হয়েছে। যিনি কথা বলছেন তার কণ্ঠ ভেজা। যেনো অব্যক্ত কান্নার প্রকাশ ঘটছে প্রতিটি কথায়। অনুরোধ করা হচ্ছে, বাসায় তারাবিসহ পাঁচ ওয়াক্তের নামায পড়ার জন্য।
বলা হচ্ছে, সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে রোজা রাখার জন্য। মানবজাতির এক চরম দুঃসময়ে এলো রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের পবিত্র মাহে রমজান।
রমজানের শুরুতেই ধর্মপ্রাণ মানুষ মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছেন, পবিত্র এই মাসের কল্যাণে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস থেকে পুরো পৃথিবীর মানুষকে যেনো হেফাজত করেন। পুরো পৃথিবী যেনো দ্রুত আবার স্বাভাবিক নিয়মে ফিরে আসে। রমজান আত্মশুদ্ধির মাস। দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ আজ রাতে সেহ্রি খেয়ে রমজানের সিয়াম সাধনা শুরু করবেন।
শনিবার সন্ধ্যায় ইফতারের মাধ্যমে পূর্ণ হবে প্রথমদিনের সিয়াম। রমজানের পবিত্রতা রক্ষা ও জননিরাপত্তার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রমজান ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্র একটি মাস। এই মাসে সিয়াম সাধনার পর উদযাপিত হবে মুসলিম বিশ্বের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর, নিয়ে আসে এক অনাবিল আনন্দ।
বার্তা বিভাগ প্রধান