সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে করোনাভাইরাসের পরীক্ষাগারে এই প্রথম সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছে। এক দিনেই ১০ জনের শরীরে ধরা পড়েছে মরণব্যধি করোনার অস্তিত্ব।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে মোট ৮৮ জনের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়। তন্মধ্যে ৭৮ জনের ফলাফল নেগেটিভ আসলেও ১০ জনের শরীরে ধরা পড়ে করোনাভাইরাস। কাকতালীয়ভাবে ওই ১০ জনের সবাই হবিগঞ্জ জেলার।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে করোনাভাইরাস পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হয় গত ৭ এপ্রিল। শুরুর দিকে প্রাপ্ত ফলাফল নেগেটিভ আসতে থাকে। এরপর গত সপ্তাহের দিকে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের এক নারীর শরীরে ধরা পড়ে করোনার অস্তিত্ব। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে এটিই ছিল প্রথম করোনা পজেটিভ ফলাফল। এরপরে সুনামগঞ্জের আরেক নারীর শরীরে করোনা শনাক্ত করা হয়েছিল।
এছাড়া গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলার আরো দু’জনের শরীরে পাওয়া যায় কোভিড-১৯। গত রবিবার সিলেট সদর উপজেলার খাদিমপাড়া ইউনিয়নের এক যুবকের শরীরেও ধরা পড়ে করোনাভাইরাস।
সব মিলিয়ে বিগত দিনে ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে করোনার ফলাফল পজেটিভ আসে ৫ জনের। আর সোমবার এই ল্যাবে একদিনেই ১০ জনের ফলাফলে করোনা পজেটিভ আসে।
উল্লেখ্য, সিলেটে সর্বপ্রথম করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দিনকে। গত ৫ এপ্রিল তার শরীরে ধরা পড়ে করোনা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান গত ১৫ এপ্রিল ভোর রাতে।
ডা. মঈনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল সিলেটেই। সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয়েছিল ঢাকায়। পরবর্তীতে ঢাকার আইইডিসিআর থেকে তার ফলাফল জানানো হয়েছিল করোনা পজেটিভ হিসেবে।
নির্বাহী সম্পাদক