আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে চারজন আহত হয়েছেন। সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার খাদ্যগুদাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা যুবলীগের সদস্য রিপন চৌধুরীর সঙ্গে উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য আপেল মাহমুদের দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। সোমবার বেলা দুইটার দিকে আপেল মাহমুদের সমর্থক কেন্দুয়া ডিগ্রি কলেজের ছাত্রলীগ কর্মী রফিক কলেজ প্রাঙ্গণে তাঁর কয়েকজন বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় রিপন চৌধুরীর সমর্থক তফাজ্জল ও তাঁর লোকজন এসে রফিকের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে রফিককে মারধর করেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে আপেল মাহমুদের সমর্থকেরা একত্র হয়ে ঘণ্টা খানেক পর তফাজ্জলকে মারধর করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
পরে বিকেল পাঁচটার দিকে রিপন চৌধুরীর নেতৃত্বে তাঁর সমর্থকেরা লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র¿নিয়ে খাদ্যগুদাম এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা আপেল মাহমুদের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে চারজন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
যুবলীগ নেতা রিপন চৌধুরী ও ছাত্রলীগ নেতা আপেল মাহমুদের মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা ফোন ধরেননি। কেন্দুয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) স্বপন চন্দ্র সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সোমবার রাতে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখন পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।
নির্বাহী সম্পাদক