Home » ডাঃ মঈন উদ্দিনের স্মৃতি ধরে রাখতে চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যকর্মীরা পাবে সেহেরীর খাবার

ডাঃ মঈন উদ্দিনের স্মৃতি ধরে রাখতে চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যকর্মীরা পাবে সেহেরীর খাবার

করোনাভাইরাসের কারণে সংকটময় পরিস্থিতিতে শুরু থেকেই বিভিন্ন মানবিক কার্যক্রম করে আলোচনায় আসেন রাউজানের তরুণ রাজনীতিবিদ ফারাজ করিম চৌধুরী।

এমতাবস্থায় করোনা যুদ্ধে প্রাণ হারানো প্রথম চিকিৎসক ডাঃ মঈনের স্মৃতির প্রতি ভালবাসা জানিয়ে চট্টগ্রাম শহর জুড়ে আরো একটি ব্যতিক্রমী মানবিক কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছেন তিনি।

পবিত্র রমজান মাস জুড়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত হাজারো স্বাস্থ্যকর্মীদের নিকট রাউজানবাসীর পক্ষ থেকে সেহেরীর খাবার পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি।

জানা যায়, রমজান মাসে রাউজান থেকে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার মানুষের জন্য সেহেরীর খাবার চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হবে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিকট এসব খাবার পৌছে দেওয়া হবে। পথিমধ্যে রাস্তাঘাটে দায়িত্ব পালন করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, পথচারী ও ছিন্নমূল মানুষদের কাছেও পৌঁছে দেওয়া হবে সেহেরীর খাবার।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ফারাজ করিম চৌধুরী বলেন, “আমরা জাতি হিসেবে নতুন কোন ইস্যু পেলে পুরনোগুলো ভুলে যাই। দেশের এই পরিস্থিতিতে করোনা যুদ্ধে প্রাণ হারানো প্রথম চিকিৎসক ডাঃ মঈন উদ্দিনের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য তার প্রতি ভালবাসা জানিয়ে এই মহামারীর সম্মুখ যোদ্ধা তার সহকর্মী অন্যান্য নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিকট সেহেরীর খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা রাউজানবাসীর সহযোগিতার মাধ্যমে উদ্যোগ নিচ্ছি। দেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্য রাত জেগে দায়িত্ব পালন করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভাইদের নিকটও আমরা সেহেরীর খাবার পৌঁছে দিতে চাই। পাশাপাশি অন্যান্য পথচারী ও রাস্তায় থাকা মানুষদের কাছেও খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে।”

রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে কঠিন দায়িত্ব পালন করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাদের কথা চিন্তা করে ফারাজ করিম চৌধুরী যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা প্রশংসনীয়। এই কার্যক্রমে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা থাকবে।”

রাউজানের সর্বস্তরের জনসাধারণের ব্যবস্থাপনায় ও রাউজান উপজেলা প্রশাসন এর সার্বিক সহযোগিতায় এই কার্যক্রমের তত্ত্বাবধানকারী রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ কেফায়েত উল্লাহ বলেন, “সেহেরীর খাবারের এই কার্যক্রমটি পরিচালনা করার জন্য এরই মধ্যে রাউজান পৌরসভার জানালীহাট ও ৯ নং ওয়ার্ডে ২ টি রান্নাঘর প্রস্তুত করা হয়েছে। ঠিক করা হয়েছে ১০ জন বাবুর্চি। খাবার বিতরণের জন্য থাকবে ৩০ জন স্বেচ্ছাসেবী। তাদের সকলের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত গ্লাভস ও মাস্ক সংগ্রহ করা হয়েছে। চাল, ডাল, তেল, আলু সহ অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য আমরা মওজুদ করছি।”

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *