লন্ডনের ক্রয়ডন হাসপাতালে এক মাস আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ভর্তি হন ৫১ বছর বয়সী জোথি ক্যাশাবান। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাখা হয় নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ)। তারপরও ডাক্তার নার্সসহ স্বাস্থকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ১৩ এপ্রিল ঘরে ফিরেছেন তিনি।
তার ঘরে ফেরার মুহূর্তে ক্রয়ডন হাসপাতালের প্রায় একশ কর্মী হাততালি দিয়ে তাকে গার্ড অফ অনার প্রদান করেন। তাকে রিসিভ করতে আসেন পরিবারের সদস্যরা। মিসেস ক্যাশাভান হাসপাতালের কর্মীদের “অন্তহীন সমবেদনা” এবং তার জীবন বাঁচানোর জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি নিজেকে ধন্য মনে করি এবং আপনাদের কখনই ভুলব না। আপনারা আমার জীবন বাঁচিযেছেন।”
৫১ বছর বয়সী ক্যাশবানের এক কন্যা ও চার মাস বয়সী নাতি রয়েছেন। তাকে ১৭ মার্চ ভর্তি করা হয়েছিল। সম্ভবত তিনিই যুক্তরাজ্যের প্রথম দিকের কোভিড-১৯ রোগীদের এজন।
তিনি জানান, যদিও এটি এখন অবিশ্বাস্য মনে হলেও আমি প্রথমে মনে করিনি যে এই লক্ষণগুলি করোনভাইরাস হতে পারে। কিছুদিনের জন্য আমার হালকা লক্ষণ ছিল যা ধীরে ধীরে জ্বর দেখা দেয়ছে, আমার মাথায় এবং শরীরে খুব ব্যথা এবং মাথা ঘোরা, যার ফলে আমি এক সপ্তাহ পরে ভেঙে পড়েছিলাম।” এর হাসপাতালে তাকে ৩০দিন থাকতে হয়।
এদিকে ক্রয়ডন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, করোনায় আক্রান্ত ৩০০ বেশি রোগী ছাড়া পেলেও এখনো পর্যন্ত ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে দেড় শতাদিক কোভিড-১৯ এর রোগী রয়েছে, যাদের মধ্যে ২১ জন গুরুতর।
সৌজন্যে : বিডি-প্রতিদিন
বার্তা বিভাগ প্রধান