বাংলাদেশে দিনে দিনে বাড়ছে করোনার প্রকোপ।করোনা মোকাবেলায় যখন সবাই সাধারণ দিন মজুর, রিকশাওয়ালা, কাজের বুয়া সহ খেটে খাওয়া মানুষের কথা ভাবছেন। ঠিক তখন মনে হয় বাদ পড়ে যায় সমাজে সব চাইতে অবহেলিত, সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠী । হিজড়া, ট্রান্সজেন্ডার, সেক্স ওয়ারকার দের ঘরে বিশেষ করে প্রান্তিক মানুষের কাছে খাবার পৌঁছাতে কাজ শুরু করেন এই মঞ্চ অভিনেত্রী। প্রথমে ব্যক্তি হিসেবে কাজ শুরু করেন সংস্কৃতি কর্মী বৃন্দের সাথে কিন্তু নিজ কমিউনিটির মানুষের জন্য সহায়তা টা বিশেষ দরকার। সেই প্রয়োজন মেটাতে ই পাশে এসে দাড়ান অন্য ট্রান্সজেন্ডার বন্ধু হোচিমিন ইসলাম।
দুই বন্ধু সহ মোট চারজন মিলে করেছেন সীড ফান্ডিং। সেখান থেকে কাজ শুরু করেন এই দুই বন্ধু। পরবর্তীতে তাদের সাথে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের উন্নয়ন করমী, নাট্যকর্মী, ও অনেক ছোট বড় সংস্থা।
তাদের কে বিশেষ ভাবে সহ যোগিতা করেন,খুশি কবীর, শরনিলা এন,কবীর, ফারহানা হাফিজ, সামিনা লুতফা নিত্রা, সেলিনা আহমেদ এনা,নাহিদা ডলি, তাপসি রাবেয়া স্মৃতি সাদিয়া নাসরিন, ফাতেমা রিজভী সহ আরো অনেক গন্য মান্য ব্যক্তি। এছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বিশিষ্ট অভিনেত্রী।
এছাড়াও তাদের সাথে কাজ করছেন আলোকিত শিশু, শিশু বিকাশ কেন্দ্র, , ফুটস্টেপস, আলোকিত প্রজন্ম। এই সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় এই যাবত ঢাকা, কেরানীগঞ্জ, সাভার, ধামড়াই, কুশটিয়া, খুলনা, রাজবাড়ি, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রামে প্রায় ৫৫০ জন ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া ও ১০ টি সাধারণ নিম্নবিত্ত ও ৬ টি মধ্যবিত্ত পরিবার কে ৭/১০ দিনের প্রয়োজনীয় খাবার ও কিছু নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে।
এখন পরিস্থিতি খুব খারাপ বিধায় আপাতত ফান্ড ম্যানেজ করার কাজ চলছে।
পরবর্তী পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।তাস নুভা শিশির বলেছেন, আমি ডেভেলপমেন্ট সেক্টরে কাজ করি দীর্ঘ দিন, এখানে আসলে প্রজেক্ট আসে প্রজেক্ট যায়, মেইনস্ট্রিমের মানুষ জন প্রজেক্টের টাকায় বিদেশ যায়, ক্যারিয়ার গড়ে, কিন্তু শিশির দের নিজেদের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়না। এহেনু করোনা মোকাবিলায় তাই তাগিদ অনুভব করছিলাম পরিস্থিতি মোকাবেলায় অসহায় প্রান্তিক ট্রান্স বোনেদের বা ভাইদের কাছে খাবার পৌঁছাতে হবে যে কোনো মূল্য। তাই বন্ধু দের সাথে নিয়ে এই সমন্বয় করা।
তিনি আরো বলেনঃ আসলে যারা আমাদের সাপোর্ট করে পাশে এসে দাড়িয়েছেন সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা আর অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা। বিশেষ ধন্যবাদ হোচিমিন, শোয়েব , মমিনুল, মৌরি,কাব্য সহ টিমে যারা সবাই এক সাথে কাজ করেছি। আসলে মহামারী সংক্রান্ত পরিস্থিতি মোকাবেলায় রাষ্ট্র, সরকার ও প্রাইভেট সবার এক সাথে সমন্বয় করে কাজ করা দরকার। আমাদের সরকারি সহায়তার ও প্রয়োজন। দেশে করোনা মোকাবেলায় জে যেখান থেকে কাজ করছেন সবাই সবাইকে সহ যোগিতা করা প্রয়োজন।। যারা যারা করোনা মোকাবেলায় কাজ করছেন তাদের কে এই সকল জনগোষ্ঠীর কথা মাথায় রেখে ই কাজ করার জন্য অনুরোধ করেন।সব শেষে সবাইকে ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া কমিউনিটি র বোন দের প্রতি মানবিক ও শ্রদ্ধাশীল আচরণ করতে বলেন।