অস্কারজয়ী হলিউড অভিনেতা-সংগীতশিল্পী জ্যারেড লেটোর ভক্ত ছোট পর্দার অভিনেত্রী সাবিলা নূর। আর সে কারণেই সম্প্রতি এই অভিনেতার সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে লাইভ আড্ডার সুযোগটি আসে তার।
সাবিলার কথায় যেখানে বাংলাদেশকে নিয়ে হীনমন্যতা সেখানে লেটোর চোখে মুখে ছিল উচ্ছ্বাস।
লাইভের শুরুতে লেটো জানতে চান, কোথায় থেকে যুক্ত হয়েছে তার ভক্ত (সাবিলা? উত্তরে সাবিলা বলেন, ‘বাংলাদেশ’। কিছুটা সময় নিয়ে আবার বলেন, ‘তুমি সম্ভবত বাংলাদেশের নাম শোনোনি? রাইট?’ উত্তরে লেটো বলেন, ‘ও বাংলাদেশ! তুমি কি মনে করো আমি এতটাই স্টুপিড!’
তুমি সত্যিই চেন- জানতে চান সাবিলা। প্রতিবাক্যে আবারও লেটো বলেন, ‘অবশ্যই, সবাই বাংলাদেশকে চেনেন।’
এমন প্রত্যুত্তরে কিছুটা দ্বিধায় পড়ে যান সাবিলা।
সাবিলাকে আশ্বস্ত করতে লেটো বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি জায়ান্ট দেশ।’
এরকম জবাবে সাবিলা খুশি না হয়ে বরং হলিউডের এই অভিনেতাকে বোঝাতে শুরু করেন, বাংলাদেশ জায়ান্ট দেশ নয়। অনেকে মনে করেন ইন্ডিয়ার একটি অংশ বাংলাদেশ। এটিও ঠিক নয়।
এবার সপ্রতিভ লেটো বলেন, ‘এটা তোমার সমস্যা, আমার নয়। সবাই বাংলাদেশকে চেনেন। সুন্দর সব মানুষ সেখানে থাকেন। বাংলাদেশ যথেষ্ট বড় একটি দেশ। আয়ারল্যান্ড, বার্মা, ভুটানের চেয়ে বড় দেশ। এটা ঠিক, বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার মধ্যে মিল আছে। তোমাদের ওখানে ডাল, নানরুটি পাওয়া যায়!’
সাবিলা লেটোর উত্তরে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন। এরপর এই পশ্চিমা তারকা সাবিলাকে বিদায় জানান।
নিজের দেশ নিয়ে সাবিলার এমন হীনমন্যতা ও অসম্মানজনক আচরণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে তুমুল সমালোচনা। টেলিভিশনেরই অনেক নির্মাতা ও শিল্পী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। অনেকে মন্তব্য করেন, শিল্পীর কাছ থেকে নিজের দেশ প্রসঙ্গে আরও বুদ্ধিদীপ্ত ও পরিপক্ব আচরণ আসা উচিত।
একজন তারকা নিজের দেশকে আরও দায়িত্বশীলভাবে উপস্থাপন করতে পারতেন বলে মনে করেন তারা।
উল্লেখ্য, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী লেটো ‘ডালাস বায়ার্স ক্লাব’ (২০১৩) সিনেমায় লিঙ্গ পরিবর্তনকারী নারীর চরিত্রে অভিনয় করে অস্কার পান। এছাড়াও তিনি পেয়েছেন গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার ও স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ডসহ অসংখ্য পুরস্কার।
ভিডিও: