মুম্বই: সোমবার নতুন করে ধারাভিতে চার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, শুধু তাই নয়, একজনের মৃত্যুও হয়েছে। এখনও অবধি ধারাভিতে Covid-19-এর থাবায় ৪৭।
ব্রিহণমুম্বাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন জানিয়েছে, আরও একজনের নতুন করে মৃত্যুতে ধারাভিতে মোট মৃতের সংখ্যা পাঁচ। মদিনা নগর, জনতা কোঅপারেটিভ হাউসিং সোসাইটি এবং ধারাভির গুলমোহর চল থেকে আরও তিনজন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।
নেহেরু চলের বাসিন্দা ৬০ বছরের একজন ব্যাক্তি যার সাইওন হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর স্যাম্পেল পরীক্ষা কড়ে পজিটিভ হয়েছে, জানিয়েছে বিএমসি। চলছে হাই-রিস্ক কনট্যাক্ট ট্রেসিং। ধারাভির ১৬টা পকেট থেকে ৪৭ ঘটনা সামনে এসেছে। এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম বস্তী ধারাভি।
সরকারি সূত্রে রবিবার রাটে জাণা গিয়েছিল, মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত ২০০০-এর দিকে এগোচ্ছে। রবিবার ২২১ জন নতুন করে COVID-19-এ আক্রান্ত হয়েছে এবং ২২ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
মহারাষ্ট্র স্বাস্থ্যমন্ত্রক একটি বিবৃতিতে এ দিন জানিয়েছে, “রবিবার ২২১ জনের মধ্যে করোনা পসিটিভ হয়েছে। রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৯৮২। শুধু এদিন ২২ জনের মৃত্যুতে মোট মৃতের সংখ্যা বর্তমানে ১৪৯”।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “রবিবার অবধি ৪১০০০ বেশি স্যাম্পেল টেস্ট করা হয়েছে মহারাষ্ট্রে এবং ২১৭ জন রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন”।
ভারতে করোনা হানা দেওয়ার পর থেকেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মহারাষ্ট্র। একের পর এক করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলতে শুরু হলেও ধারাভি বস্তির ঘটনা চিন্তা দ্বিগুণ বাড়িয়েছে। শুধুমাত্র আক্রান্তই নয়, মৃত্যুরসংখ্যার নিরিখেও ভারতের সকল রাজ্যগুলির মধ্যে সবার আগে রয়েছে মহারাষ্ট্র। মহারাষ্ট্রে এপর্যন্ত যত জনের মৃত্যু হয়েছে, তা প্রায় গোটা দেশের অর্ধেক।
নাজেহাল অবস্থা বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ের। এর মধ্যে মুম্বইয়ের যে অঞ্চলটিকে নিয়ে চিন্তা সব থেকে বেশি, সেই ধারাভি বস্তিতেও বাড়ছে সংক্রমণ। এছাড়া করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে থানে, নাগপুর, সাতারা, পিম্পড়ি-চিঞ্চাওয়াড়, আহমেদনগর থেকেও। বিশাল এলাকায় করোনা ছোবল মেরেছে মহারাষ্ট্রে।
পরিস্থিতির ভয়াবহতা দেখে মুম্বই এবং পুণে পুরনিগম মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে। এই দুই শহরে রাস্তায় মাস্ক না পরে বেরোলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পরিস্থিতিতে অবনতি দেখে শনিবার থেকেই ধারাভিতে শুরু হয়েছে স্ক্রিনিং। মহারাষ্ট্র মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের ১৫০ সদস্যের ডাক্তারের একটি দল ব্রিহ্নমুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনকে এই কাজে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে। সাড়ে ৭ লক্ষ বাসিন্দাকে করোনার টেস্ট করা হবে বলে জানা গিয়েছে। আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে সেই টেস্ট করার ব্যবস্থা করেছে বিএমসি।
নির্বাহী সম্পাদক