কিছু সংস্থা ও সমাজ প্রেমী মানুষের সহযোগিতায়। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে গান গেয়ে ভিক্ষা করে যে টাকা উপার্জন হত সেই টাকা দিয়ে চলত সিধু কানু মিশন। কিন্তু বর্তমানে দেশের লকডাউন পরিস্থিতিতে সংকট দেখা দিয়েছে। ওই সিধু-কানু মিশনের অনাথ সাঁওতাল ছেলে মেয়েদের দুবেলা-দুমুঠো খাওয়ার এখন বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুরুলিয়া জেলার আড়ষা ব্লকের অন্তর্গত ভালিডুংরি নামক এক জায়গার পাহাড়ের নিচে এই সিধু কানু মিশন। এই সিধু কানু মিশন টি পুরুলিয়া থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। মিশনটি ২০১৪ সালে স্থাপন করা হয়। এই মিশনের জন্য নেই কোন সরকারি সাহায্য।
নরেন হাঁসদা নামক এক সমাজ প্রেমী মানুষ এই মিশনটি স্থাপন করেন এবং অনাথ সাঁওতাল ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার সুযোগ করে দেয়। বর্তমানে ওই স্কুলে একশো কুড়ি জন সাঁওতাল ছেলে মেয়ে পড়াশোনা করে। তার মধ্যে অনাথ ছেলেমেয়েরা মিশন আবাসিক থেকে পড়াশোনা করে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। আজ ৬ই এপ্রিল দিনাম খবরের প্রতিনিধিরা নরেন হাঁসদার সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে যে বর্তমান সিধু-কানু মিশনের অবস্থা খুবই সঙ্কটজনক। সিধু কানু মিশনের নরেন হাঁসদা জানান যে করোনা ভাইরাসের জন্য বর্তমানে দেশে চলছে লকডাউন। ফলে বিভিন্ন প্রান্তে গান গেয়ে ভিক্ষা করে মিশন চালানোর জন্য যে টাকা উপার্জন হত তাও বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু বর্তমানে মিশন স্কুল বন্ধ হলেও অনাথ ছেলেমেয়েরা ২৫ জন আবাসিকে রয়েছে।
ওই ছেলে মেয়েদের নেই কোনো অভিভাবক তাই তারা বাড়ি যেতে পারেনি মিশন আবাসিকে তারা রয়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে গান-বাজনা তো দূরের কথা ঘর থেকে বেরানো অনেক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশে লকডাউন কতদিন চলবে ? যে অনাথ ছেলেমেয়েদের মা-বাবা নেই, জানিনা আমি তাদেরকে কতদিন খাওয়াতে পারব ? এখন টাকা উপার্জনের সমস্ত পথ আমার বন্ধ। এদিন নরেন হাঁসদা সঙ্গে কথা বলে তার দু চোখে জল চলে আসে। কেননা এই সিধু কানু মিশন টি সম্পূর্ণ চলছিল তার প্রচেষ্টায় বিভিন্ন দেশ দেশান্তরে গান-বাজনা করে। এদিন নরেন হাঁসদা এটাও বলেন যে এই অনাথ ছেলেমেয়েদের দুবেলা-দুমুঠো খাবারের জন্য যদি কোন সংস্থা বা সমাজ প্রেমী মানুষ আমাকে সাহায্য করে তাহলে খুবই ভালো হত।
নির্বাহী সম্পাদক