দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১২ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এরমধ্যে শুধু ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনেই আক্রান্ত হয়েছেন ৬২ জন। বাকিরা ঢাকার বাইরের। সারাদেশে ৩৩০ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে শুধু ঢাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৯৬। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে, তার বাড়িও ঢাকায়।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে যেসব এলাকায়:
আদাবরের ১৭ নম্বর সড়ক, মোহাম্মদপুরের রাজিয়া সুলতানা রোডের একটি বাড়ি, তাজমহল রোডের একটি বাড়ি, কৃষি মার্কেট রোডের মুখে বাড়ি লক ডাউন, বাবর রোডের একটি বাড়ি এবং বসিলার উত্তরমোড়া এলাকার একটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। জাফরাবাদ বুদ্ধিজীবী মসজিদ লকডাউন করা হয়েছে। শেরেবাংলা নগর এলাকায় মোতাহার বস্তি লকডাউন করেছে পুলিশ। ভাটারা থানার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার অ্যাপোলো হাসপাতালসংলগ্ন পাঁচতলা একটি ভবন লকডাউন করেছে পুলিশ। উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের একটি সড়ক এলাকা লকডাউন করে রাখা হয়েছে। এছাড়াও দক্ষিণখানে একটি বাড়িতে এক যুবক আক্রান্তের খবর পাওয়া গেলেও তাকে সেই ঠিকানায় পাওয়া যায়নি। গুলশান ১ এর ১৫ নম্বর সড়কের একটি বাড়িতে করোনাভাইরাস রোগী পাওয়ার পর ওই সড়কটি এবং বাড়িটি লকডাউন করে দিয়েছে পুলিশ। তেজগাঁওয়ের আরজতপাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে একজন রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ওই বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে। পল্লবী থানার (মিরপুর ১১) সেকশন ১১ বি-এর ১ নম্বর সড়কের তিনটি বাড়ি লকডাউন করেছে পুলিশ। ৪৬, ৪৮ ও ৫০ নম্বর বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। ৪৮ নম্বর ছয় তলা বাড়িটিতে একজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী ছিলেন। রোগী শনাক্ত হওয়ার পর বাড়িটির দুইপাশের বাড়িসহ লকডাউন করে পুলিশ। মিরপুরের মডেল থানা দুটি বাড়ি লকডাউন করেছে। একটি পীরেরবাগ অপরটি শাহআলী বাগ। দুটি বাড়িতেই করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। কাফরুল থানার মিরপুর ১৩ সেকশনের ১/১ রোডের ৪২ ও ৪৩ নম্বর বাসা লকডাউন করেছে পুলিশ। দারুস সালাম থানা এলাকার উত্তর টোলারবাগের একটি আবাসিক এলাকা পুরোটা লকডাউন করে রাখা হয়েছে। শাহআলী থানার সি-ব্লকের ১১ নম্বর সড়কের একটি ছয় তলা বাড়ি লকডাউন করেছে পুলিশ। ক্যান্টনমেন্ট ইব্রাহীমপুরের একটি বাসা। কাফরুলের একটি বাসা। মহাখালী, নিকুঞ্জ-২ এর ১২ নম্বর সড়ক এবং মহানগরীর বাড্ডা থানার উত্তর বাড্ডা এলাকার দুটি বাড়িতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী মিলছে। এজন্য খানবাগ রোডের একটি বাড়ি এবং স্বাধীনতা সরণির একটি বাড়ি লকডাউন করেছে পুলিশ। প্রথমে দুটি সড়ক লকডাউন করা হলেও এখন বাড়ি দুটি লকডাউন করে রাখা হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) যেসব এলাকা আক্রান্ত হয়েছে:
মগবাজারের রিজেন্ট টাওয়ার, কলাবাগানের সেন্ট্রাল রোডে ছয়তলা বাড়ি, শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পাশের একটি বাড়ি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একজন চিকিৎসক, হাজারীবাগ থানা এলাকার পশ্চিম ধানমন্ডির বেকারির গলির আট তলা একটি ভবন, রাজধানীর লালবাগ থানা এলাকার লালবাগ সড়কে দুটি বাড়ি এবং বড়বাট মসজিদ এলাকায় একটি ভবন, পুরান ঢাকায় খাজে দেওয়ান লেনে একটি মসজিদ কমিটির সহ-সভাপতি ও এক নারীর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে, পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজার রোজ মেরিনার্স নামে একটি ভবন, ওয়ারি থানা এলাকার বনোগ্রাম রোডের একটি ভবন এবং রাং কিং স্ট্রিট রোডে একটি ভবন, পুরানা পল্টন কালভার্ট রোডের দুটি ভবন, শাহজাহানপুর থানার উত্তর শাহজাহানপুরের দীপশিখা রোডের চারতলা একটি বাড়িতে একজন রোগী শনাক্ত হয়েছে, সবুজবাগের নারিন্দা একটি বাড়ি, যাত্রাবাড়ী থানার মীর হাজীবাগ এলাকার নবীনগর গলির একটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। ওই বাড়িতে বেসরকারি একটি টেলিভিশনের একজন ক্যামেরাম্যান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একটা বাড়ি লকডাউন করে রেখেছি। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাড়িটি লকডাউন থাকবে।’ গেণ্ডারিয়া থানার গুরুদাস লেনের চারতলা একটি ভবন একজন রোগী শনাক্ত হয়েছে, বাবুবাজার, উর্দূ রোড, ইসলামপুর একাংশ, লক্ষ্মীবাজার ও সোয়ারিঘাট এবং চকবাজারে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী মিলছে।
বার্তা বিভাগ প্রধান