এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে করোনা সংক্রমণে ভুগছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তবে হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে ঘরেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। রবিবার (৫ এপ্রিল) হাসপাতালে ভর্তি হন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সে সময় ডাউনিং স্ট্রিটের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ছোটখাটো কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একদিনের মাথায় সোমবার (৬ এপ্রিল) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ডাউনিং স্ট্রিটের এক বিবৃতিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের লক্ষণ বহাল থাকায় প্রধানমন্ত্রী লন্ডনের সেন্ট থমাস হাসপাতালের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। সোমবার বিকাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থার অবনতি হলে মেডিক্যাল টিমের পরামর্শে তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
সূত্রকে উদ্ধৃত করে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে সোমবার অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে। তবে তার শাররিক অবস্থা আগের মতোই রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য দফতরের পরামর্শ হলো, সপ্তাহ শেষে যদি শুষ্ক কাশি, শরীরের তাপমাত্রা, অবসাদ ভাব না যায় কিংবা সেগুলো আরও বেড়ে যায় তবে আক্রান্তদের চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং উচ্চ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষেরা আক্রান্ত হওয়ার প্রথম সপ্তাহেই ভাইরাসকে মোকাবিলা করতে সক্ষম হন। বিপত্তি তৈরি হয় অসুস্থতা দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়ানো মানুষদের ক্ষেত্রে। এসময়ে আক্রান্তের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসটির প্রতি অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং এতে নিজের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ আক্রান্ত হতে শুরু করে। আর তাই গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিরা এক্ষেত্রে অঙ্গ প্রত্যঙ্গের অকার্যকারিতার কারণে মারা যান।
শুরুতে বরিসের হাসপাতালে ভর্তি হওয়াকে রুটিন চেকআপ ও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেছিল ডাউনিং স্ট্রিট। তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এর পরপরই এক বিশ্লেষণে আভাস দিয়েছিল, বরিসের স্বাস্থ্য অবস্থার অবনতি হয়েছে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, হাসপাতালে এখন যে ধরনের চাপ, তাতে ছোটখাটো সমস্যার জন্য বরিস হাসপাতালে ভর্তি হতেন না। ছোটখাটো পরীক্ষা ডাউনিং স্ট্রিটে বসেই করানো যেতো।
বার্তা বিভাগ প্রধান