নয়াদিল্লি: সংখ্যাটা ক্রমশ আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে। বুধবার সকাল পর্যন্ত ১৬০০ তে আটকে ছিল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আর রাতেই সেটা প্রায় কয়েক’শ এগিয়ে গেল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২০০০। এর মধ্যে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে ১৪১ জন সুস্থ হয়ে গিয়েছেন।
তেলেঙ্গানায় এদিন ১২ জনের নতুন সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে একজনের। রাঁচিতে হিন্দিপিরি নামে একটি এলাকা থেকে ৯০ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
মুম্বইতে পাঁচ সিআইএসএফ জওয়ান আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া রাজস্থানের চুরুতে সাত জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। অন্ধ্রপ্রদেশে একদিনেই নতুন ৬৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ জন বেড়েছে। মৃত্যু হয়েছে সাতজনের। পণ্ডিচেরীতে প্রথম আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। তিনি নিজামুদ্দিনের জমায়েত থেকে ফিরেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
অসমে আটজন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল আরও একজনের। নয়াবাদের প্রৌড়ের চিকিৎসা চলছিল পিয়ারলেস হাসপাতালে। বুধবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
রাজ্যে আগেই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। এবার নয়াবাদের প্রৌড়ের মৃত্যু হল। ইনি বেশ কিছুদিন ধরেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। এগরার বিয়ে বাড়িতে গিয়ে আক্রান্ত হন তিনি।
বুধবার সকাল পর্যন্ত আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দশজন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। একই সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশে ৪০, বিহারে ১৬, চণ্ডীগড়ে ১৩ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারণ করোনা থাবা বসিয়েছে লাদাখে। বুধবার সকাল পর্যন্ত লাদাখের ১৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
আক্রান্তের সংখ্যা বেশি রাজধানী দিল্লিতে। দিল্লিতে এখনো পর্যন্ত ৯৭ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও গোয়ায় ৫, গুজরাটে ৭৪, হরিয়ানায় ৪৩, হিমাচলপ্রদেশে ৩ জম্মু-কাশ্মীরে ৫৫ জন কোভিড১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে, রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৬। মঙ্গলবারই ওই ব্যক্তির করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। গত কয়েকদিন ধরেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।
নির্বাহী সম্পাদক