Home » সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বসছে পিসিআর ল্যাব

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বসছে পিসিআর ল্যাব

করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) পরীক্ষার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি ও ভাইরোলজি ল্যাবকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। আজকেই ল্যাবে পলিমেরেজ চেইন রিঅ্যাকশন বা পিসিআরসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বসানোর কাজ শুরু হবে। 

এরফলে আগামী সপ্তাহ থেকে সিলেটে করোনাভাইরাস পরীক্ষা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর থেকেই টেস্ট কিটের অপ্রতুলতার বিষয়টি আলোচনায় ওঠে আসে। জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হচ্ছিল। গত বুধবার থেকে ঢাকায় আরও একাধিক প্রতিষ্ঠান ও ঢাকার বাইরের ৭ জেলায় পিসিআরের মাধ্যমে করোনা পরীক্ষা শুরু হয়। তবে সে তালিকায় ছিলো না সিলেট। 

প্রবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল সিলেটকে করোনাভাইরাসের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবু সিলেটে করোনাভাইরাস পরীক্ষার সুযোগ না থাকায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছিলো। সিলেটে পিসিআর থাকলেও ল্যাব এবং প্রয়োজনীয় লোকবল না থাকায় এখানে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছিলেন সংশ্লিষ্টরা।এ অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি ও ভাইরোলজি বিভাগের ল্যাব। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপনের পর বিশেষজ্ঞরা আসবেন। তারা এসে মেশিনটি চালু করবেন। তারা প্যাথলজি বিভাগের কর্মীদের প্রশিক্ষণও প্রদান করবেন। প্রশিক্ষণ শেষে সিলেটে করোনাভাইরাস পরীক্ষা শুরু হবে। সিলেটে কয়েকটি নমুনার পরীক্ষার ফলাফল পর্যবেক্ষণ করবেন এক্সপার্টরা।ওসমানী মেডিকেল কলেজের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য আমরা ওসমানী মেডিকেলের মাইক্রোবায়োলজি ও ভাইরোলজি ডিপার্টমেন্টে ল্যাবের জায়গা নির্ধারণ করেছি।

 

আজকের (সোমবার) সিলেটে যন্ত্রপাতি আসার কথা। যন্ত্রপাতি সেট করার পর বিশেষজ্ঞরা আসবেন।তিনি বলেন, এই মেশিন স্থাপনের জন্য বায়ুরোধী কক্ষের প্রয়োজন। আমার মোটামুটি প্রস্তুত রেখেছি। এখন তারা এসে হয়তো কিছু পরিবর্তন, পরিবর্ধন করতে পারেন। বিশেষজ্ঞ যারা তারা এই কাজ করবেন।ডা. হিমাংশু লাল রায় আরও বলেন, প্যাথলজিস্ট বিভাগের স্টাফদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন এক্সপার্টরা। প্রশিক্ষণের পর তারা যাদের নির্ধারণ করবেন তারাই ল্যাবে কাজ করবেন। পরীক্ষা সঠিক ভাবে ফাংশনিং হচ্ছে কি না সেটা দেখে প্রশিক্ষিতদের দায়িত্ব দিয়ে যাবেন। এবং ল্যাবে যারা কাজ করবেন তাদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা সরঞ্জামও প্রদান করা হবে।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *