নোয়াখালীতে জ্বরে আক্রান্ত এক তরুণের (২৩) মৃত্যু নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই তরুণের বাড়ি জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলায়।
বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অসীম কুমার দাস প্রথম আলোকে বলেন, পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী ওই তরুণ এক দন্ত চিকিৎসকের চেম্বারে সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। ছয়-সাত দিন আগে থেকে তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। দু-তিন দিন আগে তিনি এক মেডিসিন বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হন। ওই চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী চিকিৎসা চলছিল। এরই মধ্যে আজ বিকেলে এই তরুণের অবস্থার অবনতি ঘটে। একাধিকবার তাঁর বমি এবং সঙ্গে রক্ত যেতে থাকে। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
অসীম কুমার দাস আরও বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতির বিবেচনায় তাঁরা বিষয়টি সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে (আইইডিসিআর) জানান। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত পাওয়ার এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে। এ ছাড়া ওই তরুণের লাশের কাছে কাউকে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পুলিশকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
ওই তরুণকে চিকিৎসা দেওয়া চিকিৎসক আবদুল আউয়াল বলেন, গত মঙ্গলবার ওই তরুণকে তাঁর কাছে আনা হয়। তখন তাঁকে জানানো হয়, ওই তরুণ ছয়-সাত দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। তিনি অবস্থা জানার পর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন। আজ সন্ধ্যায় তাঁর বমি হচ্ছে এবং সঙ্গে রক্ত যাচ্ছে জানানোর পর তিনি তাঁকে দ্রুত জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন।
জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, হাসপাতালে এক তরুণকে আনার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সম্ভবত ওই তরুণ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন মো. মোমিনুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, জ্বরে আক্রান্ত ওই তরুণের মৃত্যুর বিষয়টি আইইডিসিআরকে জানানো হয়। সেখান থেকে তরুণের লাশ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা ঢাকায় পাঠাতে বলা হয়। সে অনুযায়ী আলামত সংগ্রহ করে আজ ঢাকায় পাঠানো হবে। প্রথমআলো
নির্বাহী সম্পাদক