Home » করোনা সন্দেহে মহিলা যাত্রীকে নিয়েই হাসপাতালে বাসচালক

করোনা সন্দেহে মহিলা যাত্রীকে নিয়েই হাসপাতালে বাসচালক

অনলাইন ডেক্সঃ করোনাভাইরাস নিয়ে একটি ঘটনায় সামাজিক সচেতনতা ও অসচেতনার ছবি স্পষ্ট৷ সচেতনার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন এক বাসচালক৷ আর অসচেতনার পরিচয় দিলেন এক মহিলা বাসযাত্রী৷

পুলিশের পরামর্শে করোনা সন্দেহজনক বাসের এক মহিলা যাত্রীকে বাস করেই বেলেঘাটা আইডি-তে নিয়ে চলে আসেন ওই বাসের চালক৷ কিন্তু ওই মহিলা বাস থেকে কিছুতেই নামতে চাননি৷ আইডি হাসপাতালে তাঁর অপেক্ষায় চিকিৎসক থেকে শুরু স্বাস্থ্যকর্মীরা ওই মহিলার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন দীর্ঘক্ষণ৷ কিন্তু বাস থেকে নামতে রাজি হননি ওই মহিলা৷

বুধবার দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম (এসবিএসটিসি) দু’টি বিশেষ বাসে ভিনরাজ্যের কিছু শ্রমিক ও আসানসোলের কয়েকজন বাসিন্দাকে পাঠিয়েছিল রাজ্য প্রসাসন৷ বেলঘরিয়া ডিপোর এই বাস আসানসোলে ওই যাত্রীদের নামানোর পর বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতায় ফেরে। কিন্তু আসানসোল থেকে বাস ছাড়ার আগে বরাকর থানার পুলিশ এক মহিলাকে একটি বাসে তুলে দেয়, এবং বাসচালকে অনুরোধ করেন, ওই মহিলার বাড়ি কলকাতার বেহালায় সুতরাং তাঁকে ধর্মতলায় নামিয়ে দিতে৷ পুলিশ কর্মীর কথা মতো ওই বাসচালক মহিলা যাত্রীকে নিয়ে কলকাতার উদ্যেশে রওনা দেন৷ তবে বাসের ড্রাইভার বিষয়টি এসবিএসটিসি-র এক কর্তাকে জানিয়েও রাখেন এবং বরাকর থানার ওই পুলিশ কর্মীর ফোনও সঙ্গে রেখে দেন৷

এদিন সকাল ৮টায় আসানসোল থেকে বাস ছাড়ে এবং দুপুরে কলকাতায় এসে বাস পৌঁছয়৷ কিন্তু বাসের মধ্যে ওই মহিলা যাত্রীকে বেশ কয়েক কাশতে দেখে বাসচালকের সন্দেহ হয়৷ তিনি ধর্মতালায় পৌঁছে বিষয়টি পুলিশকে জানান৷ পুলিশ বাসচালকে বাসটি নিয়ে সোজা বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে নিয়ে চলে আসতে বলেন৷ পুলিশের পরামর্শ মত ড্রাইভার বাস নিয়ে সোজা বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে যান।

কিন্তু বাস হাসপাতালে পৌঁছে গেলেও ওই মহিলা যাত্রী তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে রাজি হননি৷ শুধু তাই নয়, বাস থেকেই নামতেই চাননি৷ সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা বাস থেকে নেমে হাসপাতালে যাওয়ার অনুরোধ করলেও তিনি তা রাজি হননি। দীর্ঘক্ষণ টালবাহানার পর বেলেঘাটা থানার পুলিশ এসে তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। আর ওই বাসের চালক ও কনডাক্টরের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় এবং বাসটিকে জীবাণুমুক্ত করা হয়৷

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *