Home » ঢাকায় করোনাভাইরাসে মারা গেলে সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে দাফন

ঢাকায় করোনাভাইরাসে মারা গেলে সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে দাফন

রাজধানীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা গেলে সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে তাদের দাফন করা হবে। এ ক্ষেত্রে মৃতদের খিলগাঁও-তালতলা কবরস্থানে দাফনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা মোমিনুর রহমান মামুন। তিনি জানান, ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

মোমিনুর রহমান বলেন, ‘ঢাকাতে কেউ করোনাভাইরাসে মারা গেলে তাদের তালতলা কবরস্থানের একটি অংশে সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় দাফন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দুই সিটির দুজন সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা তালতলা কবরস্থান পরিদর্শন করে জানাবেন ঠিক কোন স্থানে দাফন করা যাবে।’

গত বুধবার দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সত্তর বছরের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে, চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৮ জন। মৃত ব্যক্তি তার বিদেশ ফেরত এক পরিচিতের সংস্পর্শে এসেছিলেন। আইইডিসিআর জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির আগে থেকেই ফুসফুসের ক্রনিক রোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনি জটিলতা ছিল। এছাড়া হৃদযন্ত্রে একবার স্টেন্টিংও হয়েছিল।

এদিকে দেশে করোনাভাইরাসের প্রভাব বাজে পরিস্থিতির দিকে গেলে সংক্রমণ রোধে সারাদেশে বাস, ট্রেন ও নৌ চলাচল বন্ধ করে দেবে সরকার। রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রেলপথমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণ যদি খুবই খারাপ অবস্থায় যায়, তখন সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে।’

এর আগে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মরণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গতকাল বৃহস্পতিবার লকডাউন (অবরুদ্ধ) করা হয়েছে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা। সেখানকার ওষুধ, কাঁচামাল, মুদি দোকান বাদে সব দোকানপাট ও গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। গতকাল বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন।

আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওমিটারের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ১৭৬টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০ হাজার। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ০৪৭ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৮৫০ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮৮ হাজার ৪৪১ জন।

সূত্র: আমাদের সময়

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *