ডেস্ক নিউজ :বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আসলে বাংলাদেশে নির্বাচন বলে কিছু একটা হবে, তা দেশের মানুষ এখন বিশ্বাস করতে চায় না। নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর তারা সব আস্থা ও বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। নির্বাচন কমিশনের বর্তমান কার্যক্রম ও কথা বার্তায় সামান্য কিছু যদি আস্থা থেকেও থাকে এখন তাও চলে গেছে। তাদের আচরণ বলছে, ক্ষমতা দখলের প্রক্রিয়া থাকবে কিন্তু নির্বাচনের জন্য আর কোনও জায়গা থাকবে না।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার মারামুক্তি ও তারেক রহমানের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সংগ্রামী দল কেন্দ্রীয় কমিটি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আমীর খসরু বলেন, সরকারের নির্দেশেই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এমপি ও মন্ত্রীদের প্রচারে নামার সুযোগ দিতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আওয়ামী লীগের নির্দেশে আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে কিনা সে বিষয়ে ইসি শিগগিরই একটি সভায় বসবে। এতে তারা নির্বাচনি প্রচারে মন্ত্রী-এমপিদের অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে চায়।
তিনি যোগ করেন, দেশের মানুষ একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কথা প্রতিনিয়ত বলে আসছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে যারা বাংলাদেশে আসছেন তারাও বারবার বলছেন। কয়েকদিন আগেও আমরা যেক’টি প্রস্তাবনা দিয়েছি সেগুলো নিয়ে তাদের আলোচনায় বসতে সময় হয় না। আওয়ামী লীগের নির্দেশেই খুব জরুরি একটা সভা করে তাদেরকে (এমপি মন্ত্রীদের) প্রচারে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে যাচ্ছে। কিন্তু সরকার ও কমিশন নির্বাচনটাকে গ্রহণযোগ্যের দিকে না নিয়ে তারা বারবার ক্ষমতা দখলের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
‘হায়াত-মউত আল্লাহর হাতে, খালেদা জিয়ার বয়সও হয়েছে’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা যখন মাথায় চলে যায় তখন কথা বার্তার ভারসাম্য থাকে না। তখনই তাদের সবচেয়ে বিপদ হয়।’
‘তারেক রহমানকে ফিরিয়ে এনে আইনের মুখোমুখি করা হবে’, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান যে দেশে আছেন সেটি একটি গণতান্ত্রিক ও সভ্য দেশ। সে দেশের মানুষ মানবাধিকার, আইনের শাসন, জীবনের নিরাপত্তা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। তারা এও বিশ্বাস করে স্বৈরতান্ত্রিক দেশগুলোতে রাজনৈতিক নেতারা যখন নিষ্পেষিত হয়, তখন তাদের আশ্রয়স্থল হচ্ছে যুক্তরাজ্যের মতো দেশ। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তারেক রহমান যুক্তরাজ্যে আছে। প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য ধোঁকাবাজি।’
সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফারহানা জাহান নিপার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।