Home » প্রবাসী দেশে এসেই অনেকেই হোম কোয়ারেন্টিন মানছেন না “বাড়ছে করোনা ঝুঁকি”

প্রবাসী দেশে এসেই অনেকেই হোম কোয়ারেন্টিন মানছেন না “বাড়ছে করোনা ঝুঁকি”

হোম কোয়ারেন্টিন না থাকায় সমাজ ও পরিবারের সদস্যদের বাড়ছে করোনা ঝুঁকি।

শুধু শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে এখনো প্রতিদিন আসছেন ৭ হাজার প্রবাসী। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন মাত্র ৪৩ জন। যাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা তাদের বেশিরভাগই নিয়ম মানছেন না।

তারা বিপদজনকভাবে ঘোরাঘুরি করছেন দেশজুড়েই। আইইডিসিআর বলছে, এসব মানুষের কারণে সংক্রমনের ঝুঁকি দিনদিন বাড়ছে।

বিশ্বে করোনা পরিস্থিতি দিনদিন যত ভয়াবহ হয়ে উঠতে থাকে ততই পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে প্রবাসীদের দেশে আসার ঢল। এখন পর্যন্ত ৬ লাখের বেশি প্রবাসী দেশে ফিরেছে। দেশে যে কজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তাদের বেশিরভাগই প্রবাস থেকে আসাদের দ্বারা সংক্রমিত হয়েছেন

সংক্রমণ ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী কোয়ারেন্টিনের নিয়ম না মানলে তাকে অনুর্দ্ধ ৩ মাসের কারাদন্ড অথবা অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। যদি কোন ব্যক্তি জেনেও সংক্রমন হওয়ার তথ্য গোপন করেন তবে তাকে অনুর্দ্ধ ২ মাসের কারাদন্ড অথবা অনধিক ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।

ঢাকার পাশেই মানিকগঞ্জ জেলায় দেশে ফেরা সহস্রাধিক প্রবাসীর মধ্যে মাত্র ৪০৪ জন হোম কোয়ারেন্টিনে আছের। যত্রতত্র ঘোরাফেরা করায় গেল ৪ দিনে ৫জন প্রবাসীকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শরিয়তপুরে গত পাঁচদিনে ফিরেছে ২ হাজার ৮শত ৩৪ জন, হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন মাত্র ২৮২ জন। মাদারীপুরে এ মাসে ফিরেছেন ২ হাজার ৯শত ২৭ জন, হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ২৪৫ জন। আর এদের অনেকেই ইতালি ফেরত।

মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, যদি কারও বিরুদ্ধে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নিয়ম না মানার অভিযোগ উঠে , তাহলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী গেল ১৭ দিনে ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় ফিরেছেন প্রায় দশহাজার প্রবাসী। অথচ মাত্র ২৪ জন রয়েছেন হোম কোয়ারেন্টিনে। বাকিদের উপর নিয়ন্ত্রণ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন ডা. শাহ আলম বলেন, আমরা প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে একটি করে কমিটি করে দিব। তাদের কাজ হবে যারা দেশের বাইরে থেকে তাদের একটি তালিকা করে আমাদের দিবে, আমরা এসব মানুষদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করব।

আইইডিসিআর বলছে , বিদেশ থেকে ফেরার আগে পরীক্ষায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি না মিললে ভাবার কোন কারণ নেই যে তিনি ঝুঁকিমুক্ত। এজন্যই প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক।

আইইডিসিআর উপদেষ্টা ডা. মুশতাক আহমেদ বলেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর মূহুর্তে তাদের ঝুঁকি ছিল। কারণ বিমানবন্দরে অনেক দেশে থেকে আক্রান্ত হয়ে দেশে ফিরেছে। তাদের শরীরে এই ভাইরাসটি অনেক সুপ্ত অবস্থায় আছে। আর সুপ্ত অবস্থায় এটি স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ধরা পড়ে না। তারা দেশের, সমাজের এবং বিশেষকরে তার পরিবারের মানুষদের ঝুঁকিতে ফেলছে। তাই তাদের বিদেশ থেকে ফিরেই ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা উচিত।

এরইমধ্যে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ জন। মারা গেছেন ১জন।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *