ডেস্ক নিউজ : মৌলভীবাজারের হাওরাঞ্চলে বোরো ধানে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে। সেই সাথে রয়েছে পোকা মাকড়ের আক্রমণ। এখনই ব্যবস্থা নেয়া না হলে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন চাষিরা। কৃষি বিভাগ বলছে, রোগ-বালাই ঠেকাতে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
হাওয়া
বোরো মৌসুমে মৌলভীবাজারের হাকালুকি, হাইলহাওর ও কাউয়াদিঘি হাওরসহ ৭ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ধানের আবাদ করেন চাষিরা। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আশানুরূপ ফলনের আশা করছিলেন তারা। কিন্তু হঠাৎ করে পোকামাকড়ের আক্রমণের পাশাপাশি দেখা দিয়েছে ব্লাস্ট রোগ। আক্রান্ত ধান ক্রমেই শুকিয়ে চিটায় পরিণত হচ্ছে। রোগ-বালাই ঠেকাতে মাঠে মাঠে কীটনাশক প্রয়োগ করছেন চাষিরা। তাতেও মিলছে না প্রতিকার। নিরুপায় হয়ে অনেকে কেটে নিচ্ছেন আধাপাকা ধান। এ অবস্থায় ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন তারা।
তারা বলেন, ব্লাস্ট রোগের আক্রমণে সকল ধান নষ্ট হয়ে গেছে। ধান কেটে ঘরে তোলার মতো এখন আর অবস্থা নেই। আমাদের কাঁধে ঋণের বোঝা তো আছেই। এটা এখনই নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে সারা হাওরেই ছড়িয়ে পড়বে।
অবশ্য, পরামর্শ মেনে ব্যবস্থা নেয়া হলে ফলন বিপর্যয় ঠেকানো সম্ভব বলে দাবি কৃষি বিভাগের।
কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, এ বছর জেলায় ৫৩ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। প্রায় ৩০ হেক্টর জমিতে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে।
মৌলভীবাজার কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শাহ জাহান বলেন, প্রতি উপজেলাতেই স্কোয়ার্ড গঠন করা হয়েছে যাতে করে কোথাও যদি ব্লাস্ট রোগের আক্রমণের ঘটনার সংবাদ পাওয়া মাত্রই তারা গিয়ে সেটা দমনের ব্যবস্থা নিতে পারেন।