ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দু’পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে শামসুল হক চৌধুরী (৫৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। নিহত শামসুল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামের মৃত সওদাগর চৌধুরীর ছেলে। এ সময় ৭ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুরের মসজিদ-মাদরাসার অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নূর আলী ও জয়নাল আবেদীনের পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল।
তাদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়েছে। এসব ঘটনায় উভয় পক্ষ মামলা দায়ের করেছে। কিছুদিন আগেও তাদের বিরোধ নিস্পত্তি করতে সালিশ সভা হয়। কিন্তু এতেও বিরোধ মিমাংসা হয়নি। এরই জেরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে সেখানে রাত থেকেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
অভিযোগ উঠেছে, শুক্রবার সকালেও দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। দুপুরে পুনরায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। এসময় শামসুল হক চৌধুরী নামের একজন দৌড় দিয়ে নদীর পাড়ে গেলে সেখানে পুলিশ তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই মারা যায় শামসুল।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন টিটু বলেন, পুলিশের লাঠির আঘাতে সে মারা যায়নি। আমরা ধারণা করছি সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা আছে।
সূত্র: বিডি-প্রতিদিন
প্রতিনিধি