শুদ্ধবার্তাটোয়েন্টিফোরডটকম: পটুয়াখালীতে তরমুজ চাষে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে এই জেলার তরমুজ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। তরমুজ বিক্রি করে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় তাদের মুখে এবার হাসি ফুটেছে।
বেলে-দোআঁশ মাটি তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় পটুয়াখালীতে তরমুজ চাষ ভালো হয়। মৌসুমি এই ফল নিয়ে তাই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা।
প্রকারভেদে জাম্বু জাগুয়ার, বিগ ফ্যামিলি, সুইট ড্রাগন, সুগার বেবি ও ব্লাক ডায়মন্ড নামে ৫ ধরনের তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। এর মধ্যে কালচে রংয়ের জাম্বু জাগুয়ার তরমুজ স্বাদে অতুলনীয়। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে তরমুজ যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। আকার ভেদে প্রতিটি তরমুজ ১০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চৈত্রের মাঝামাঝি এবং বৈশাখের প্রথম দিকে পটুয়াখালীর বিভিন্ন হাট-বাজারে ওঠে এই মৌসুমি ফল তরমুজ। এ বছর পটুয়াখালী জেলায় ৮টি উপজেলার মধ্যে একমাত্র দুমকি উপজেলা ছাড়া বাকি ৭টি উপজেলায় ১৩ হাজার ৭১৮ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ করা হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি তরমুজ আবাদ হয়েছে রাঙ্গাবালী উপজেলায়। এ উপজেলায় ৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ করা হয়। এছাড়া জেলার গলাচিপায় ৪ হাজার হেক্টর, কলাপাড়ায় ৫১৫ হেক্টর, দশমিনায় ৪০০ হেক্টর, বাউফলে ২৭৫ হেক্টর, পটুয়াখালী সদরে ১৮ হেক্টর ও মির্জাগঞ্জে ৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ করা হয়। ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় পটুয়াখালীসহ দক্ষিণ উপকূলের কৃষকদের মধ্যে তরমুজ চাষে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে।
ধানখালী এলাকার তরমুজ চাষি মো আকবর জানান, ‘তিন মাস আগে তিন একর জমিতে তিনি তরমুজ চাষ করেছেন। যথাসময়ে ক্ষেতে সার প্রয়োগ করেছেন। এছাড়া আবহাওয়াও ভালো থাকায় সবদিক মিলিয়ে তরমুজের এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে এক লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন তিনি। তিনি এবার লাভবান হতে পারবেন বলে আশা করছেন।
বার্তা বিভাগ প্রধান