অনলাইন ডেস্ক
: সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশে দেশটির সরকারি বাহিনীর বিমান হামলায় তুরস্কের ৩৩ জন সেনা নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবারের এ হামলায় আরও অনেক সেনা আহত হয়েছেন।
আজ শুক্রবার তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের হাতই প্রদেশের গভর্নর রাহমি দোগানের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ইদলিবে তুরস্ক সেনা ও যুদ্ধাস্ত্র পাঠানোর পর একদিনে তুর্কি সেনা হতাহতের এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যা। এই হামলার পর সিরিয়ার বাশার আল আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা চালাতে শুরু করেছে তুরস্ক।
তুরস্কের যোগাযোগ পরিচালক ফাহরেত্তিন আলতুন দেশটির বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে বলেন, সিরীয় সরকারের সব লক্ষ্যবস্তুগুলো পরিচিত। আর সেগুলো তুরস্কের বিমান ও সেনাবাহিনীর আয়ত্তে রয়েছে। আসাদ বাহিনীর মতো হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আঙ্কারা।
রাশিয়া সমর্থিত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উৎখাতের জন্য ২০১১ সাল থেকে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে ইদলিব হলো তুরস্ক সমর্থিত বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ ঘাঁটি।
এ হামলার পর এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘এ খবর খুবই উদ্বেগজনক। আমরা ন্যাটোর মিত্র তুরস্কের পাশে আছি। সিরিয়া, রাশিয়া ও ইরান সমর্থিত বাহিনীর নিন্দনীয় অভিযান তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধের আহ্বান জানাই আমরা।’
এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান গতকাল গভীর রাতে ইদলিবের পরিস্থিতি নিয়ে দুই ঘণ্টার জরুরি নিরাপত্তা বৈঠক করেন। রাজধানী আঙ্কারায় প্রেসিডেন্ট কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে মন্ত্রী ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি