অনলাইন ডেস্ক
: হাতে চার উইকেট, স্কোরবোর্ডে ২২৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করেছিল জিম্বাবুয়ে। ক্রিজে থাকা দুই ব্যাটসম্যান চাকাবা-টিরিপানো খেলছিলেন দেখে শুনে। কিন্তু বেশি দূর যেতে দেননি আবু জায়েদ রাহী। দ্রুতই ফেরান টিরিপানোকে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪৫ রান। ক্রিজে আছেন চাকাবা ও এনডলবু
প্রথম দিন
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকাল শনিবার সাড়ে ৯টায় ম্যাচটি শুরু হয়। শুরুতে রাহী দ্রুত উইকেট তুলে নিলেও ধীরে ধীরে ম্যাচের নাটাই নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় জিম্বাবুয়ে। আরভিনের সেঞ্চুরি আর মাসভাউরের হাফসেঞ্চুরিতে প্রথম দিন শেষে এগিয়ে আছে সফরকারীরা। প্রথম দিন দলটির সংগ্রহ ছয় উইকেট হারিয়ে ২২৮ রান।
তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে ৩১৫ মিনিট মাঠে থেকে ২১৩ বলে ১৩ চারের মারে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন আরভিন। এই ম্যাচসহ ১৮ টেস্টের ক্যারিয়ারে এটি আরভিনের তৃতীয় সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরিটি আরও ঐতিহাসিক হয়ে থাকবে শততম ম্যাচের কারণে। এই ম্যাচের আগে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে মুখোমুখি হয় ৯৯ বার। বাংলাদেশ জেতে ৫৭ ম্যাচে। ৭২টি ওয়ানডেতে বাংলাদেশ জেতে ৪৪টিতে, ১৬ টেস্টের মধ্যে জেতে ৬টি, তিনটিতে ড্র এবং ১১টি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ জেতে ৪টি ম্যাচে।
হারের বৃত্ত ভাঙতে মরিয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে জয় ছাড়া বিকল্প ভাবছেন না টাইগাররা। একমাত্র টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং নেয় জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ একাদশ সাজিয়েছে দুই পেসার ও দুই স্পিনার নিয়ে।
শুরুতেই পেসার আবু জায়েদ রাহী ওপেনার কাসুজাকে ফিরিয়ে শুভসূচনা এনে দিয়েছিলেন। সেই ধাক্কা সামলে বাংলাদেশকে অস্বস্তিতে ফেলে দিচ্ছিলেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। নাঈম হাসান টানা তিন উইকেট তুলে নিয়ে স্বস্তি এনে দেন বাংলাদেশ শিবিরে। আরভিনকে শেষ বিকেলে ফেরান নাঈম হাসান, ততক্ষণে তার ব্যাট থেকে আসে ১০৭ রান।
জিম্বাবুয়ের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন মাসভাউরে। প্রথম উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেটে মাসভাউরে-আরভিন ১১১ রানের জুটি গড়ে দলকে নিয়ে গেছেন চালকের আসনে । মাসভাউরে আউট হলে ভাঙে শতাধিক রানের এই জুটি। ব্যক্তিগত ৬৪ রানে নাঈম হাসানের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। তার ব্যাট থেকে আসে ১৫২ বলে ৬৪ রান। মাসভাউরের নিখুঁত টেস্ট ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯টি চারে।
এরপরেই মাঠে আসে ব্রেন্ডন টেইলর। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানকে বেশিদূর এগুতে দেননি নাঈম। তাকে বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান এই স্পিনার। টেইলরের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১০ রান। টেইলর আউট হলে ক্রিজে এসে সাবলীল খেলা খেলতে লাগলেন সিকান্দার রাজা। তাকেও বেশি এগুতে দেননি নাঈম হাসান। ১৮ রানে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান সাজঘরে। ক্রিজে আসা নতুন ব্যাটসম্যান মারুমাকেও বেশিক্ষণ থাকতে দেননি আবু জায়েদ।
টাইগারদের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন নাঈম হাসান। তিনি ৩৬ ওভার বোলিং করে মাত্র ৬৮ রান দিয়ে নেন চার উইকেট। আবু জায়েদ রাহীর ঝুলিতে জমা হয় দুটি উইকেট। পুরো ম্যাচে উইকেট শূন্য ছিলেন তাইজুল ইসলাম ও এবাদত হোসেন
প্রতিনিধি