Home » বসুন্ধরা বিটুমিন প্লান্ট: উদ্বোধনের পর পরই উৎপাদন শুরু

বসুন্ধরা বিটুমিন প্লান্ট: উদ্বোধনের পর পরই উৎপাদন শুরু

বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন ‘বসুন্ধরা বিটুমিন প্লান্ট’ দেশের প্রথম বেসরকারি বিটুমিন কারখানা। আজ শনিবার দুপুরে ঢাকার কেরানীগঞ্জের পানগাঁওয়ে এই বিশাল কারখানা উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের পর পরই উৎপাদন শুরু করে প্লান্টটি। বসুন্ধরা গ্রুপের সিস্টার কনসার্ন বসুন্ধরা অয়েল অ্যান্ড গ্যাস কম্পানি লিমিটেড নির্মিত এই কারখানা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে উন্নমানের বিটুমিন রপ্তানিতে সক্ষম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বিশেষ অতিথি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং অনুষ্ঠানের সভাপতি আহমেদ আকবর সোবহান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর। এ ছাড়া বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, এই দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। পিছিয়ে পড়াদের খাবার দিতে হবে, অন্ধকার থেকে আলোর দিকে আনতে হবে। সরকারের সহযোগিতায় প্রাইভেট সেক্টর এগুলো বাস্তবায়নে কাজ করছে। আমরা এতোদিন দেশীয় বিটুমিন পাইনি। দেশের বাইরে থেকে আমদানি করতে হতো। দেশের চাহিদার ৯০ শতাংশ আমদানি নির্ভর। এগুলো আবহাওয়ার সাথে মেলে না। সমস্যা হয়। বসুন্ধরা গ্রুপ সে সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করতে যাচ্ছি আমরা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথে প্রাইভেট খাত এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর পিতার স্বপ্ন পূরণ করতে যাচ্ছেন। সেই স্বপ্ন পূরণে হাজারো মানুষের কর্মসংস্থানের জোগান দিতে দেশে যাঁরা এগিয়ে এসেছেন তাদের সম্মুখভাগে রয়েছে এই বসুন্ধরা গ্রুপ।

অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের পর উপভোগ্য লেজার শো প্রদর্শন করা হয়। সেখানে বাংলাদেশে প্রথম বেসরকারি খাতের উদ্যোগে গড়ে ওঠে ‘বসুন্ধরা বিটুমিন প্লান্ট’র চিত্র মূর্ত হয়ে ওঠে।

পরিশোধিত ক্রুড অয়েলের উপজাত থেকে তৈরি বিটুমিন সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণে ব্যবহার করা হয়। আর বাংলাদেশের মতো দেশগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমদানি করা বিটুমিনের ওপর নির্ভরশীল। দেশে বিটুমিনের মাসিক চাহিদা ৪২ হাজার টন। এই চাহিদা প্রতিবছর গড়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হারে বাড়ছে। বসুন্ধরা বিটুমিন প্লান্ট এককভাবে বছরে সাড়ে আট লাখ মেট্রিক টন বিটুমিন উৎপাদন করতে পারবে। ফলে সরকারের বিপুল অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।সুত্র: কালের কণ্ঠ

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *