অনলাইন ডেস্ক
: উহানে নারী স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) মোকাবিলায় প্রেরণের পূর্বে তাদের মাথার চুল ফেলে দিতে হচ্ছে। জোরপূর্বকভাবে এমনটি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে এক চীনা হাসপাতালের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি ইন্টারনেটে একটি ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায়, প্রায় এক ডজন নার্সের চুল কেটে ফেলা হচ্ছে। এসময় কয়েকজনের চোখে পানিও দেখা যায়। এ থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। ধারণা করা হচ্ছে, জোর করেই তাদের চুল ফেলতে বাধ্য করা হচ্ছে।
ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভিডিওতে যেসব নারীকর্মীদের দেখা গেছে তারা স্বেচ্ছায় উহানে গিয়ে চিকিৎসা দিতে চেয়েছেন এবং তাদের চুল কাটার বিষয়টিও জোরপূর্বক নয়।
তবে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি মন্তব্য করতে দেখা গেছে। অনেকেই দাবি করছেন, এ কাজ জোরপূর্বক করা হচ্ছে। আবার অনেকেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবিকে মেনে নিয়েছেন।
স্থানীয় পত্রিকা গানসু ডেলি গত শনিবার প্রথম এই ফুটেজটি প্রকাশ করে। চুল কাটার পর ওই কর্মীদের লানঝো শহরে পাঠানো হয়। সেখানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা প্রদান করবেন তারা। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে এ কাজ করেছে যাতে তারা আলোচনায় আসতে পারে। অনেকে আবার এর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বলেছেন, তারা এমনিতেই মাথা আটকে কাজ করেন। তাছাড়া তাদের চুল এমনিতেও খুব বেশি বড় ছিল না। তারপরেও এমন নিষ্ঠুরভাবে তাদের চুল কেটে ফেলা হলো কেনো সেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তারা।
এদিকে, দ্য কোয়ার্টজ জানিয়েছে, মূলত কভিড-১৯ মোকাবিলায় চীনা নার্সদের সাহসিকতা, ত্যাগের বিষয়টি ফুটিয়ে তুলতে ওই ভিডিও প্রকাশ করেছিল গানসু ডেইলি। কিন্তু এতে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে নেটিজেনদের মধ্যে। অনেকে বলেছেন, এতে সাহসিকতার চেয়ে অপমান বেশি ফুটে ওঠেছে।
প্রতিনিধি