১০ শতাংশ নারী পুলিশ নিজেদের কর্মস্থলে বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এর মধ্যে মধ্যপর্যায়ের ২ দশমিক ৭ শতাংশ, সাব-ইন্সপেক্টর পর্যায়ে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। তবে সবচেয়ে বেশি হয় কনস্টেবল পর্যায়ে। কমনওয়েলথ হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশের পরিসংখ্যানে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
গতকাল রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে কর্মজীবী নারী আয়োজিত এক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়। ‘কর্মক্ষেত্রে সকল প্রকার সহিংসতা ও যৌন হয়রানি বন্ধে হাইকোর্টের ২০০৯ সালের নির্দেশনা বাস্তবায়ন এবং আইএলও কনভেনশন ১৯০-এর ভূমিকা’ শীর্ষক এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য শিরীন আকতার।
অ্যাকশন এইডের আরেকটি পরিসংখ্যান থেকে দেখানো হয়, ৮০ শতাংশ গার্মেন্টস শ্রমিক কারখানাতে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এ ছাড়া ব্র্যাকের এক গবেষণায় দেখা যায়, ৯৪ শতাংশ নারী পরিবহন চলাচলের সময় মৌখিক, দৈহিক এবং অন্য যেকোনো ধরনের যৌন হয়রানির শিকার হন। প্রধান যৌন আক্রমণকারীরা ৪১ থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষ।
নারী সাংবাদিকরাও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির শিকার হয় উল্লেখ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সায়েমা খাতুন বলেন, নারী সাংবাদিকরা চাকরি হারানোর ভয়ে অভিযোগ করেন না। পাবলিক ও প্রাইভেট সেক্টরে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মিডিয়া আউটলেটগুলোতে এখনো যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ কমিটি তৈরি করা হয়নি।
সংসদ সদস্য শিরীন আকতার বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসরণ করে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট অভিযোগ কমিটি গঠন করার কথা থাকলেও সব ক্ষেত্রে এটি সম্ভব হয়ে ওঠেনি। মুজিববর্ষ পালনের মধ্য দিয়ে এই আইনটি পাস হবে বলে আশা করি আমি।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি প্রতিমা পাল মজুমদার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া রফিক, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব দিল আফরোজ বেগম প্রমুখ।
সুত্র: আমাদেরসময়
প্রতিনিধি