অনলাইন ডেস্ক
: করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৬৯ জনে। নতুন করে আরও ১৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে নতুন রোগীর সংখ্যা কমেছে টানা তৃতীয় দিনের মত।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির মূল ভূখণ্ডে শনিবার আরও ২ হাজার ৯ জনের শরীরে নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, আগের দিন নতুন রোগীর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৬৪১ জন।
সব মিলিয়ে চীনে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৮ হাজার ৫০০ জনে। আর অন্তত ২৬টি দেশে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
শনিবার চীনে ১৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার অধিকাংশই ঘটেছে হুবেই প্রদেশে। এই হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকেই গতবছরের শেষে নভেল করোনাভাইরাস ছড়াতে শুরু করে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক চীনা পর্যটক শনিবার মারা গেছেন ফ্রান্সে। ইউরোপে এ ভাইরাসে এটাই প্রথম মৃত্যু। চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে এর আগে হংকং, ফিলিপিন্স ও জাপানে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে বিশ্বে এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১৬৬৯ জনে।
করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।
নভেল করোনাভাইরাস এর কোনো টিকা বা ভ্যাকসিন এখনো তৈরি হয়নি। ফলে এমন কোনো চিকিৎসা এখনও মানুষের জানা নেই, যা এ রোগ ঠেকাতে পারে। আপাতত একমাত্র উপায় হল, যারা ইতোমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন বা এ ভাইরাস বহন করছেন- তাদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা।
প্রতিনিধি