নারীদের সঙ্গে নানা প্রলোভনে, নানা উপায়ে শারীরিক সম্পর্ক করতেন তারা। নামকরা এ দুই ব্যবসায়ী সেসব শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ধারণ করে রাখতেন, এরপর সে ভিডিওকে পুঁজি করে ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি করতেন তারা। আর অবাক করা বিষয় হলো একটি দুটি নয়, ১৮২ নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে তাদের কাছ থেকে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময় জানায়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় ঘটেছে এই ঘটনা। ১৮২ সেক্স ভিডিওসহ কলকাতার নামকরা দুই ব্যবসায়ী আদিত্য আগরওয়াল ও অনীশ লোহারুকাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ অনীশের বাসার কর্মী কৈলাস যাদবকেও গ্রেপ্তার করেছে।
শারীরিক সম্পর্ক করে ভিডিও ধারণ করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন অভিযুক্ত দুই ব্যবসায়ী। পরে ভুক্তভোগী নারী থানায় অভিযোগ দায়ের করলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া আদিত্য আগরওয়াল পরিবারের ‘এথনিক-ওয়্যার’ নামে রিটেইল চেইনের ব্যবসা রয়েছে। আর কলকাতা শহরে বহু হোটেল রয়েছে লোহারুকা পরিবারের। লোহারুকা পরিবারের এক সদস্যের দাবি, অনীশকে ফাঁসানো হয়েছে। আর আগরওয়াল পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে ফোন করা হলে কল কেটে দেওয়া হয়।
কলকাতা পুলিশের অপরাধ দমন শাখার জয়েন্ট কমিশনার মুরলীধর শর্মা জানিয়েছেন, এই দুই ব্যবসায়ী বিভিন্ন নারীর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে শারীরিক মেলামেশা করত। শারীরিক মেলামেলার ভিডিও ধারণ করে রাখত তারা। গ্রেপ্তার অনীশের ল্যাপটপ থেকে এমন ১৮২টি ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে। তার প্রত্যেকটিতে আলাদা আলাদা নারীকে দেখা যাচ্ছে। ক্লিপিংগুলো ২০১৩ সালে ধারণ করা।
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জেরায় দুই অভিযুক্ত স্বীকার করে নিয়েছে যে, তারা নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে এমন জায়গায় নিয়ে শারীরিক মেলামেশা করত যেখানে আগে থেকেই ক্যামেরাপ বসানো থাকত। ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও দিয়ে একটি ডেটা ব্যাংক করে তারা। এরপর এক যুবতীর কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। যাদব ফোন করে টাকা চায়। প্রাথমিকভাবে ওই যুবতী টাকা দিয়েও দেন। এরপর আবার তার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাওয়া হলে, তিনি কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলের দ্বারস্থ হন।
প্রতিনিধি