অনলাইন সংস্করণ: একদল বিপথগামী সেনা কর্মকর্তা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। সদ্য স্বাধীন হওয়া এ দেশে তখন নেমে আসে অন্ধকার। জাতির জীবনে এক অপূরণীয় ক্ষতি নিয়ে আসে এই জঘন্য হত্যাকাণ্ড, তৈরি করে রাজনৈতিক শূণ্যতা, ব্যাহত হয় গণতান্ত্রিক উন্নয়নের ধারা।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সারা বিশ্বে নেমে আসে শোকের ছায়া। পরবর্তীতে এই মহান ব্যক্তিকে স্মরণ করে বিশ্ব বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা নানা উক্তি করেন।
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বলেন, শেখ মুজিব নিহত হওয়ার খবরে আমি মর্মাহত। তিনি একজন মহান নেতা ছিলেন। তাঁর অনন্য সাধারণ সাহসিকতা এশিয়া ও আফ্রিকার জনগণের জন্য প্রেরণাদায়ক ছিল।
কিউবার সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং কিংবদন্তি বিপ্লবী ফিদেল ক্যাস্ত্রো বলেছিলেন, আমি হিমালয় দেখিনি, কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখেছি। ব্যক্তিত্ব ও সাহসিকতায় তিনি হিমালয়ের মতো।
বাঙালি কবি এবং প্রাবন্ধিক অন্নদাশঙ্কর রায় বলেন, যতকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরি মেঘনা বহমান
ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সাহসী নেতা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গণতন্ত্রের প্রতিমূর্তি, এক বিশাল ব্যক্তিত্ব এবং ভারতের এক মহান বন্ধু।প্রখ্যাত মিশরীয় সাংবাদিক মোহাম্মদ হাসনাইন হাইকল বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাংলাদেশের সম্পত্তি নন। তিনি সমগ্র বাঙালির মুক্তির অগ্রদূত।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেন, সহিংস ও কাপুরুষোচিতভাবে বাংলাদেশের জনগণের মাঝ থেকে এমন প্রতিভাবান ও সাহসী নেতৃত্বকে সরিয়ে দেওয়া কী যে মর্মান্তিক ঘটনা! তারপরও বাংলাদেশ এখন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে, তাঁরই কন্যার নেতৃত্বে। যুক্তরাষ্ট্র তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণে বন্ধু ও সমর্থক হতে পেরে গর্ববোধ করে।
ফিলিস্তান মুক্তি মোর্চার সাবেক নেতা, নোবেল বিজয়ী ইয়াসির আরাফাত বলেছেন, আপোষহীন সংগ্রামী নেতৃত্ব এবং কুসুমকোমল হৃদয় ছিল মুজিবের চরিত্রের বিশেষত্ব।
হলিউড অভিনেত্রী, চলচ্চিত্রকার এবং মানবাধিকার কর্মী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বলেন, এই বিশেষ বাড়িটিতে এসে আমি বেশ আবেগাপ্লুত! বাড়িটি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে জেনে আমি কৃতজ্ঞ। সূত্র: তথ্য অধিদপ্তর
প্রতিনিধি