অনলাইন ডেস্ক : ইরাকের রাজধানী বাগদাদে বিমান হামলায় দেশটির রেভল্যুশনারি গার্ডের এলিট কুর্দস বাহিনীর প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানি নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে দেশটির আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে মার্কিন যুক্তরাষ্টের বিমান হামলায় তিনি নিহত হন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ওই হামলা চালানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। ওই হামলায় ইরাকের পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটসের (পিএমইউ) সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবু মাহদি আল-মুহানদিসও নিহত হয়েছেন।
পেন্টাগনের দাবি, ভবিষ্যতে ইরানের আরও হামলার পরিকল্পনা নস্যাৎ করতেই জেনারেল কাশেম সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার লোকজনকে রক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে।
ইরানের বিপ্লবী গার্ডসও জেনারেল কাসেমের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছে। তারা বলেছে, মার্কিন হেলিকপ্টার থেকে হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।
পেন্টাগন জানিয়েছে, ইরানপন্থী বিক্ষোভকারীরা চলতি সপ্তাহে বাগদাদের মার্কিন দূতাবাস ঘেরাও করার পর তাকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এদিকে সোলাইমানির মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশে পর মার্কিন পতাকার একটি চিত্র টুইটারে পোস্ট করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে বিস্তারিত কিছু বলেননি।
গত ১৫ বছর ধরে মেজর জেনারেল কাসেম সুলাইমানি একজন গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কৌশলী হিসেবে তৈরি হয়েছেন। ইরাক ও সিরিয়ায় ক্ষমতা নির্ণয়েও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের উপস্থিতি সুসংহত করতে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
প্রতিনিধি