রংপুর প্রতিনিধি: নিখোঁজের ১০ দিন পর রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় সুমন মিয়া নামে (১৮) এক কিশোরের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার হারাগাছ পৌর এলাকার সারাই বায়তুল আমান জামে মজিদের পেছনের সেপটিক ট্যাংক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সুমন সারাই নিউ কাজীপাড়া গ্রামের মৃত রহিম মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মসজিদসংলগ্ন নুরানি হাফিজিয়া মাদরাসার কয়েকজন ছাত্র ভবনের ছাদে ব্যাডমিন্টন খেলছিল। এ সময় তাদের কর্কটি নিচে সেপটিক ট্যাংকের ওপরে পড়লে সেখানে যায় তারা। এ সময় সেপটিক ট্যাংকের মুখের একটি অংশ খোলা অবস্থায় সেখানে একজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দিলে স্থানীয়রা ছুটে আসে। পরে হারাগাছ থানা পুলিশ খবর পেয়ে বিকেল ৫টার দিকে ওই মরদেহ উদ্ধার করে।
সুমনের মা শাহানা বেগম বলেন, সুমন ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজ করত। নিখোঁজের কয়েক দিন আগে বাড়িতে আসে। গত ১৭ ডিসেম্বর সারাই ভূমি অফিস মাঠে ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় একই গ্রামের মহির আলীর ছেলে লিমনসহ (১৮) আরও ২-৩ জন ওয়াজ শোনার জন্য সুমনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে সুমনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সেই সঙ্গে তার ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর থানায় জিডি করতে গেলে শুক্রবার জুমার নামাজের পর ছেলের মরদেহের সন্ধান পাই।
এ বিষয়ে হারাগাছ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম নাজমুল কাদের বলেন, ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর থেকে নিখোঁজ ছিল সুমন। তাকে হত্যার পর সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে আটককৃত ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
প্রতিনিধি