ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর ও তার সহযোগীদের ওপর গত রবিবার হামলার ঘটনায় আলোচনায় উঠে এসেছেন এক ছাত্রলীগ নেত্রী। তিনি হলেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক ফাতেমাতুজ জুহরা রিপা।
গত রবিবার হামলার ভিডিওতে তাকে উত্তেজিত অবস্থায় লাঠি হাতে দেখা যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি করা হয়, ডাকসু ভবনে হামলায় একমাত্র নারী ছিলেন তিনি। রামগঞ্জ পৌরসভার বাঁশঘর এলাকার বাসিন্দা রিপা রামগঞ্জ মডেল কলেজের অনার্সে পড়ছেন। হামলার ঘটনার লাঠি হাতে তার ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনায় উঠে আসেন তিনি।
পরে নিজের ফেসবুক আইডি ডিঅ্যাকটিভ করে রাখেন রিপা। এ অবস্থায় তার নামে (Fatema Ripa) একটি ফেসবুক পেইজ ও গ্রুপ খুলে গত মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে লাঠি হাতে ছবিগুলো দিয়ে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। ওই পোস্টগুলোতে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করছেন। এতে অনেকেই রিপোর্ট দিয়ে আইডি, পেইজ ও গ্রুপগুলো বন্ধের অনুরোধ করেছেন।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমকের কাছে লাঠি হাতে থাকা তরুণী নিজেই বলে স্বীকার করেছেন ফাতেমাতুজ জুহরা রিপা। তিনি দাবি করেন, নিজের নিরাপত্তার তাগিদে লাঠি হাতে তুলে নিয়েছি। শিবির-ছাত্রদল ঠেকাতে, তবে কারও ওপর হামলা করতে নয়। ভিপি নুরের সঙ্গে থাকা বহিরাগত ছাত্রদল-শিবিরের নেতাকর্মীরা আমাদেরকে গালমন্দ করেছেন। এজন্য লাঠি হাতে তাদের ধাওয়া করেছিলাম।
এদিকে, ভিপি নুরুল হক নুর ও তার সহযোগীদের ওপর হামলার পর গতকাল মঙ্গলবার শাহবাগ থানার নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ রইচ হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় আটজনের নাম উল্লেখসহ ৩০ থেকে ৩৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। তবে আসামিদের মধ্যে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে রিপার নাম নেই। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুরে শাহবাগ থানায় ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরুর দায়েরকৃত মামলায় ৩২ নম্বর আসামি করা হয়েছে রিপাকে। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন
প্রতিনিধি