প্রেমের জন্য জীবনও বিসর্জন দেন কেউ-কেউ। প্রেমের কারণে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছেন অনেকে। অনেকে আবার কাঙ্খিত প্রেয়সীর জন্য করে ফেলেছেন মস্তবড় যুদ্ধ। ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখা যাবে ত্রিভুজ প্রেম ও তার জেরে হওয়া খুনোখুনির সংখ্যাও প্রচুর।
প্রাচ্যের রামায়ণ-মহাভারত কিংবা পাশ্চাত্যের ইলিয়াড-ওডিসি, সমস্ত মহাকাব্যের সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিন্তু, ত্রিভুজ প্রেমের জেরে এক তরুণকে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর করার পর পানি চাওয়ায় তাঁকে প্রস্রাব খাওয়ানোর ঘটনা মনে হয় কমই ঘটে। কিন্তু, এমনটাই ঘটল ভারতের উড়িষ্যার রাজধানী ভুবনেশ্বর সংলগ্ন খোরদা এলাকার কাইপাদার গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আক্রান্ত তরুণের সঙ্গে স্থানীয় এক কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সেই মেয়েটিকে আবার পছন্দ করত পাশের গ্রামের অন্য একটি যুবক। বিষয়টি নিয়ে ওই দুইজনের মধ্যে আগেও কথা কাটাকাটি হয়েছিল। কিন্তু, তার বেশি আর এগোয়নি। গত বুধবার আচমকা আক্রান্ত যুবকটিকে ফোন করে পাশের বাঙ্গিদা গ্রামে ডেকে পাঠায় তিনটি ছেলে। সেই মোতাবেক যুবকটিক ওই গ্রামে গেলে তাঁর ওপর চড়াও হয় অভিযুক্তরা।
তারপর তাঁকে রাস্তার ধারে একটি গাছে দড়ি দিয়ে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয়। অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে যুবকটি যখন পানি চাইছিল তখন আরও নারকীয় কাণ্ড করে এক অভিযুক্ত। প্রস্রাব করে তাঁর মুখে ঢেলে দেয়। একটু দূর থেকে পুরো ঘটনাটির ভিডিও করেন একজন পথচারী। আর পরে তা সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করে দেন।
ভিডিওটি শুক্রবার ভাইরাল হতেই বিতর্ক শুরু হয় চারিদিকে। নড়চড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসনও। এরপরই স্থানীয় খরদা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
এদিকে, ভিডিওটি খতিয়ে দেখে আক্রান্ত ও অভিযুক্ত যুবকদের শনাক্ত করার পর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় রাজা নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি দুই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
প্রতিনিধি