Home » রাজ্যপালকে বয়কটের হুমকি পড়ুয়াদের, স্থগিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তন

রাজ্যপালকে বয়কটের হুমকি পড়ুয়াদের, স্থগিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তন

অনলাইন ডেস্ক: রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) যিনি রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির চ্যান্সেলরও, তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠান স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ২৪ ডিসেম্বরের বিশেষ সমাবর্তনের ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্তই নেওয়া যায় না তাঁর অনুমতি ব্যতিরেকে। তিনি জানান, এই নিয়ে পঞ্চমবার রাজ্যের কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈঠক বা সমাবর্তন বাতিল করা হল।

রাজ্যপাল বলেন, ‘‘এই প্রবণতা ইঙ্গিত করে বর্তমান সরকারের প্রবল রাজনীতীকরণ ও ভয়ের দিকে।” প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাতের নানা মুহূর্ত তৈরি হয়েছে রাজ্যে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যলয়ের তরফে বাতিলের চিঠি পাওয়ার পর তিনি বলেন, ‘‘আমি অত্যন্ত ব্যথিত, বিরক্ত ও ভীত। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে তিলে তিলে ধ্বংস করা হচ্ছে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, পড়ুয়ারা হুমকি দিয়েছিল চ্যান্সেলর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলে তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হবে। পড়ুয়াদের তরফে অনুষ্টান বয়কট ও কোনও অনভিপ্রেত ঘটনার সম্ভাবনাকে প্রতিহত করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানিয়েছেন, সাধারণ সমাবর্তন, যাতে রাজ্যপালের উপস্থিতি আবশ্যক নয়, সেটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৪ ডিসেম্বরই।বিশেষ সমাবর্তনে এবছর সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়ার কথা কবি শঙ্খ ঘোষ, প্রাক্তন বিদেশ সচিব সলমন হায়দার, প্রখ্যাত বিজ্ঞানী অধ্যাপক সিএনআর রাও ও আইএসআই অধিকর্তা সঙ্ঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে।

রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় জানিয়েছেন, এভাবে বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানকে স্থগিত করার অধিকার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের নেই। তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী চ্যান্সেলরই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান। তিনিই প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ সংগঠনের সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর একটি বৈঠক ‘‘আপৎকালীন পরিস্থিতির মতো পরিস্থিতিতে” প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘‘ছাত্রদের দিকে তাকিয়ে এই লড়াই থাকা উচিত নয়, কে ‘বস’ তা নিয়ে লড়াই করা।

রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এপ্রসঙ্গে জানিয়েছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে এই সিদ্ধান্ত এই জন্য নেওয়া হয়েছে, কেননা নাগরকিত্ব (সংশোধনী) আইন নিয়ে রাজ্যপালের ভূমিকায় পড়ুয়ারা দুঃখিত। এতে রাজ্য সরকারের কিছু করার নেই। তিনি বলেন, রাজ্যপালের উচিত নিজের অবস্থানের মূল্যায়ন করা। কেননা তিনি বিজেপির মুখ হয়ে উঠেছেন। সুত্র: এনডিটিভি

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *