হায়দরাবাদের শামশাবাদে মহিলা পশুচিকিত্সককে ধর্ষণ এবং পুড়িয়ে খুন ঘটনায় আঁতকে উঠেছে খোদ পুলিস ডিপার্টমেন্ট। এই ঘটনাকে ‘ভয়াবহ এবং বর্বরাচিত’ বলে ব্যাখ্যা করেছে পুলিস। এই ঘটনার তদন্তের মধ্যে প্রায় একই জায়গায় মিলল আরও এক মহিলার দগ্ধ দেহ। প্রথম ঘটনাস্থল থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে। ওই ঘটনার সঙ্গে কোনও লিঙ্ক রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছে তেলেঙ্গানা পুলিস।
সাইবারবাদ পুলিস কমিশনার ভিসি সজ্জনর জানিয়েছেন, নগ্ন অবস্থায় ওই দেহটি মিলেছে। সরকারি হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পশুচিকিত্সকের মৃত্যুর সঙ্গে এই ঘটনার মিল রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বুধবার ওই পশু চিকিত্সককে গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় সিসিটিভি সূত্র ধরে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে এক ট্রাকচালক, দুই খালাসিসহ ৪ অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, গত বুধবার দুপুরে বাড়ি থেকে হায়দরাবাদের কোল্লুরু গ্রামে যান পশু হাসপাতালে ওই তরুণী পশুচিকিত্সক।
সূত্রের খবর, এদিন বাড়ি ফেরার সময় রাত ৯টা নাগাদ সামশাবাদের তন্দুপল্লি টোল প্লাজার কাছে তাঁর স্কুটির টায়ার ফেটে যায়। বিষয়টি ফোনে বোনকে জানান ওই তরুণী। বোনকে তিনি ফোনে বলেন, “আমার স্কুটির টায়ার ফেটে গেছে। একটা টায়ার সারানোর দোকানে নিয়ে এসেছি। পাশে দুই ট্রাকচালক ঘুরঘুর করছে। আমার খুব ভয় করছে।” ফোনে তাঁর বোন তাঁকে স্কুটি ছেড়ে টোল প্লাজার কাছে গিয়ে ক্যাব ধরে বাড়ি চলে আসার পরামর্শ দেয়। রাত এগারোটা নাগাদ ফের বাড়ি থেকে দিদিকে ফোন করেন বোন। তখন তাঁর ফোন সুইচড অফ। তারপরেই নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার।
বৃহস্পতিবার ওই টোল প্লাজার প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে শাদনগরে চাতানপল্লি সেতুর কাছে তরুণী চিকিত্সকের পোড়া দেহ উদ্ধার হয়। সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়া স্কার্ফ ও মৃতার গলায় গণেশের লকেট দেখে শনাক্ত করেন আত্মীয়-স্বজনেরা। তবে, তাঁর পার্স ও মোবাইলের খোঁজ মেলেনি।তদন্তে নেমে ওই টোল প্লাজার কাছ থেকে মৃতার জুতো, জামাকাপড় ও একটি মদের বোতল উদ্ধার করে সাইবারাবাদ পুলিস। পুলিসের অনুমান, গণধর্ষণের পর তাঁকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
সূত্র: জিনিউজ
প্রতিনিধি