যৌতুকের জন্য নির্যাতিত হয়ে আসছিলেন গৃহবধূ। অপরগতায় পেলেন মদ্যপ স্বামীর তালাক। এই অবস্থায় যখন তিনি দিগ্বিদিক জ্ঞনশূন্য, নেমে এল বিভীষিকা। শিকার হলেন শ্বশুর ও তার এক আত্মীয়ের গণধর্ষণের।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারতের রাজস্থানের আলওয়ার জেলার চোপানাকি গ্রামে গণধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ২৫ বছর বয়সী ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে তার শ্বশুর ও তার এক আত্মীয়।
ভুক্তভোগী তরুণী টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে তার বিয়ে হয়। পরের বছরই তিনি কন্যা সন্তানের মা হন। এরপর তার ওপর যৌতুক চেয়ে নির্যাতন শুরু হয়। গত বুধবার তাকে একটি ঘরে বন্দি করে রাখা হয়।
গত শুক্রবার তার স্বামী মদ্যপ অবস্থায় তাকে তিন তালাক দেন। এরপর তার ঘরে তার শ্বশুর ও অন্য এক আত্মীয় ঢোকেন। প্রথমে তারা তার শিশু কন্যাটিকে লাথি মেরে ঘরের বাইরে ফেলে দেন। পরে তার মাথায় বন্দুক ধরে গণধর্ষণ করেন।
পরের দিন শনিবার তিনি শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে বাপের বাড়ি চলে আসেন। সেদিনই তিনি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে এবং তার জবানবন্দিও রেকর্ড করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
প্রতিনিধি