বিশ্বনাথ প্রতিনিধি: সিলেটের বিশ্বনাথে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী এবং বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সভাপতি জালাল উদ্দিনকে ডেকে নিয়ে লাঞ্চিত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এতে বিশ্বনাথ সরকারী কলেজ ছাত্রদল সভাপতি রাসেল আহমদ আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সুহেল চৌধুরী গ্রুপের ৫জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। রোববার রাত ৮টায় বিশ্বনাথ থানার সম্মুখে এঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলা বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীন (৪৪), বাবুল মিয়া (৪৬), জুনাব আলী (৪০), উপজেলা সেচ্ছাসেবক দল নেতা সাজ্জাদ আলী শিপলু (৩০), ছাত্রদল নেতা ইমরান হোসেন টিটু (২৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানাগেছে, বিশ্বনাথ বিএনপির নতুন কমিটি গঠন নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্ধের জেরে বিশ্বনাথের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরীর বলয় এবং বিশ্বনাথ বিএনপির সভাপতি ও সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বলয়ের নেতাদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরই প্রেক্ষিতে জালাল উদ্দিন বলয়ের ছাত্রদল নেতা রাসেল আহমদ তার ফেইসবুক টাইম লাইনে সুহেল চৌধুরী বিরুদ্ধে খারাপ মন্তব্য পোষ্ট করেন।
এ নিয়ে রোববার সন্ধ্যায় পুরান বাজারে রাসেল আহমদ ও সুহেল চৌধুরী বলয়ের নেতা সাজ্জাদ হোসেন এবং ইমরান হোসেন টিটুর বাকবতিন্ডা হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে রাসেল আহমদ আহত হন। এর প্রতিবাদে রাত ৮টায় জালাল উদ্দিন বলয়ের নেতারা উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। সাথে সাথে সুহেল চৌধুরী বলয়ের নেতারাও মিছিল বের করেন।
দুই গ্রুপের থানার সামনে আসলে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থাল থেকে ৫জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আটকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাা নেওয়া হবে জানিয়ে বিশ্বনাথ থানার ওসি শামীম মুসা বলেন, বড় ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে ওই পাঁচ বিএনপি নেতাকে আটক করা হয়েছে।
প্রতিনিধি