সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জে মোহনলাল সুইটস অ্যান্ড ফুড ফোডাক্টস এর মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে সৎ বাবা ও ছেলের মধ্যে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে মোহনলাল সুইটস ঘর দ্বিতীয়বারের মতো দখল করতে আসলে পরিবেশক লিটন চৌধুরীর সাথে দ্বন্দ্ব বাঁধে তাঁর সৎ বাবা আব্দুল মান্নান চৌধুরীর। এক পর্যায়ে পুলিশ এসে মোহনলালের ফটকে থালা ঝুঁলিয়ে বিবদমান দুই পক্ষকে থানায় তলব করলেও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়নি।
জানা যায়, ঢাকার দক্ষিণ বনশ্রীর বাসিন্দা আব্দুল মান্নান চৌধুরীর সাথে ১৯৯৬ সালে মালোয়েশিয়াতে পরিচয় হয় সুনামগঞ্জের বাসিন্দা শেলি রাণী দে নামের এক নারীর। শেলী ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। লিটন ও টিটন নামে তাঁর দুই সন্তান ছিল। শেলী ১৯৯৮ সালে দেশে এসে পূর্বের স্বামীকে আদালতের মাধ্যমে ত্যাগ করে ধর্মান্তরিত হয়ে মান্নানের সাথে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন।
২০০৯ সালে সুনামগঞ্জের ডিএস রোড এলাকায় দোকান ভাড়া নিয়ে মিষ্টি ব্যবসা শুরু করেন আব্দুল মান্নান। ২০১৩ সালে এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি স্থায়িভাবে মালিকের কাছ থেকে নিজের ও স্ত্রীর নামে ক্রয় করেন মান্নান। মান্নানের দাবি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সালের আগ পর্যন্ত নিজের লোক দ্বারা পরিচালনা করলেও পরে তার পরিবেশকের দায়িত্ব পালন করেন স্ত্রীর পক্ষের ছেলে লিটন চৌধুরী।
২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর আব্দুল মান্নানের স্ত্রী শেলী চৌধুরী সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করলে চলতি বছরের মোহনলালের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয় আব্দুল মান্নান ও লিটনের মধ্যে। বিষয়টি সদর থানার হস্তক্ষেপে সুনামগঞ্জ পৌরসভায় সালিসের মাধ্যমে মিমাংসা করা চেষ্টা করা হলেও তা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। মালিকানা দাবি করে সুনামগঞ্জ আদালতে মামলা করেন লিটন। চলতি মাসের ৩ তারিখ মামলাটি খারিজ করে আব্দুল মান্নানের পক্ষে রায় দেন বিচারক। শনিবার মোহনলাল দখলে নিতে আসলে লিটনের সাথে বিরোধ বাঁধে সৎ বাবা মান্নানের।
পুলিশ এসে দোকানঘর তালা ঝুলিয়ে দুই পক্ষকে সদর থানায় তলব করে পুলিশ। তবে দোকানঘরের মালিকানার ব্যাপারে হাইকোর্টে করা আপিল আবেদন দেখালেও বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে পারেনি পুলিশ।সদর থানার ওসি মো. শহিদুর বলেন, পুলিশ পাঠিয়ে দোকান ঘরে তালা ঝুঁলিয়ে দুই পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছিলো। তবে বিষয়টিতে আইনী জটিলতা থাকায় নিষ্পত্তি হয়নি। এখন হাইকোর্ট যাদের পক্ষে রায় দিবেন তাকেই দোকান ঘর দখলে দেয়া হবে।
প্রতিনিধি