৫ আগস্ট ভারত অধিকৃত কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে অঞ্চলটিকে দুই টুকরো করে দেয় দিল্লি। ওই দিন সকাল থেকে কার্যত অচলাবস্থার মধ্যে নিমজ্জিত হয় দুনিয়ার ভূস্বর্গ খ্যাত কাশ্মির উপত্যকা। এ পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কাশ্মিরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক অতিরিক্ত সেনা। গ্রেফতার করা হয়েছে সেখানকার বিপুলসংখ্যক স্বাধীনতাপন্থী ও ভারতপন্থী রাজনৈতিক নেতাকে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আর যুক্তরাষ্ট্র গত দুই মাস ধরে ভারত সরকারের কাশ্মির নীতির তীব্র সমালোচনা করে আসছে। যদিও মোদি সরকারের দাবি ওই অঞ্চলে জঙ্গি দমনে তারা এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
বিভক্ত হওয়ার পর ৯৮ শতাংশ জনগণ জম্মু ও কাশ্মিরেই থাকছে। এর মধ্যে কাশ্মিরে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাদের জনসংখ্যা ৮০ লাখ। আর ৬০ লাখ জনসংখ্যার জম্মু হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ। অন্যদিকে লাদাখে জনসংখ্যা ৩ লাখ, যেখানে মুসলিম ও বৌদ্ধদের সংখ্যা প্রায় সমান।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, বৃহস্পতিবার গুজরাটের সাবেক আমলা গিরিশ চন্দ্র মুরমু কাশ্মির অঞ্চলের প্রথম গভর্নর হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন। লাদাখের গভর্নর হিসেবে শপথ নেন পররাষ্ট্র সচিব রাধা কৃষ্ণ মাথুর।
সুত্র: বাংলা ট্রিবিউন
বার্তা বিভাগ প্রধান